খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বাড়িতে ঢুকে নাঈম শেখকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার আড়াই মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তার আহত বাবা পিরু শেখ (৫২)।
সোমবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে গত ৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের পহরডাঙ্গা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে নাঈম দুর্বৃত্তের হাতে নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত হন নাঈমের বাবা পিরু শেখ। আহত পিরু শেখকে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে ঢাকা ও খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরদিন ৮ আগস্ট নিহতের মা মাফুজা বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে তেরখাদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তোফায়েল আহমেদ পিরু শেখের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ আড়াই মাস নাঈমের বাবা পিরুকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে পরিবারটি তাকে চিকিৎসা করতে করতে নিঃস্ব হয়ে আবার খুমেক হাসপাতালে নিয়ে এসে তার চিকিৎসা করছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পিরুর মাথায় বড় ধরনের আঘাত ছিল।
তিনি বলেন, ২০ আগস্ট নাঈম হত্যায় মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ জোগানের অভিযোগে ছাগলাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম দ্বীন ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে, ইউপি চেয়ারম্যান দীন হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। পরে আদালত তার জামিন বাতিল করেন। এরপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
টাইমস/এইচইউ