গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা: জয়পুরহাটে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দেওড়া গ্রামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম মাহমুদুল হাসান এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আক্কেলপুর উপজেলার মারমা পূর্বপাড়া গ্রামের সোহেল তালুকদার (২৭), দেওড়া সোনারপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন (৫০), দেওড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের (গুচ্ছগ্রাম) রাহিম ওরফে রাহিন (২৪), দেওড়া সাখিদারপাড়ার ফেরদৌস আলী সাখিদার (৪৪), দেওড়া সোনারপাড়া গ্রামের মজিবর রহমান (৪৪), জগতি গ্রামের রুহুল আমিন ওরফে রুহুল (৩৭) ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের (গুচ্ছগ্রাম) আজিজার রহমান (৫২)।

মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি সোহেল তালুকদার ও ফেরদৌস আলীকে পাঁচ লাখ টাকা করে এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি পাঁচ আসামির প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

 

মামলার রায় থেকে জানা গেছে, আরতি রানী মহন্ত দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ছিলেন। তার স্বামী উজ্জল মহন্ত ও বড় ছেলে উৎপল মহন্ত চট্টগ্রামে কাজ করেন। ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর রাত আনুমানিক আটটার সময় আরতি রানী মহন্ত ও তার মেয়ে অর্চনা রানী মহন্ত খাওয়াদাওয়া করে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই দিন রাত নয়টার দিকে আরতি রানী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যান। এ সময় আরতি রানীকে কয়েকজন লোক জোর করে তুলে নিয়ে যান। রাত ১০টার দিকে বাড়ির অদূরে পোড়া পুকুরপাড়ের ধানখেতে আরতি রানীকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেয়ার পথে আরতি রানী মারা যান।

এ ঘটনায় আরতি রানীর স্বামী উজ্জল মহন্ত বাদী হয়ে ১০ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আক্কেলপুর থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনী ২০০৩)–এর ৯ (৩) ধারায় মামলা করেন। এর মধ্যে তিনজন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঘটনার তিন বছর পর আজ এই রায় ঘোষণা করা হয়।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান : সালাহউদ্দিন Dec 02, 2025
img
ডিবি অফিসে যাওয়া ব্যক্তির বট আইডিগুলো আগে বন্ধ করা দরকার : আবিদুল ইসলাম আবিদ Dec 02, 2025
img
খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও ঐক্যের অনুপ্রেরণা : গয়েশ্বর Dec 01, 2025
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেছে এনসিপি Dec 01, 2025
img
ঢাকার মালিকানায় শাকিব খান, থাকবেন ম্যাচেও Dec 01, 2025
ব্যর্থ রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টাদের কাছে তারেক চ্যালেঞ্জ: রুমিন ফারহানা Dec 01, 2025
img
দুঃসংবাদ পেল ভারত Dec 01, 2025
img
শুভ ও ঐশীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরালের মাঝেই নতুন খবর! Dec 01, 2025
img
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড Dec 01, 2025
img
আবারও বাড়ল সোনার দাম Dec 01, 2025
img
মায়ের হাত ধরেই উদিতের সুরের যাত্রা শুরু Dec 01, 2025
img
অপপ্রচারের অভিযোগে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত ডাকসু নেতারা Dec 01, 2025
img
কোহলি রোহিতে মুগ্ধ ভারতীয় দলের তারকারা Dec 01, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদির উদ্বেগ, দ্রুত আরোগ্য কামনা Dec 01, 2025
img
বউয়ের ভয়ে অন্য নায়িকাদের সঙ্গে রোম্যান্স করতে হাত কাঁপে : কপিল শর্মা Dec 01, 2025
img
এক বছর পর সুখবর দিলেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মেহরাব Dec 01, 2025
img
সামান্থার বিয়ের আংটির দাম কত? Dec 01, 2025
img
আমার ক্যারিয়ার দুর্ঘটনার মতো : শাহিদ কাপুর Dec 01, 2025
img
খালেদা জিয়া আপোষহীন না হলে দেশটা ‘ভারতের দখলে চলে যেতে পারত’: তাহের Dec 01, 2025
img
জীবনে আর কখনোই খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন করবো না: ডা. এজাজ Dec 01, 2025