ঢাকার সাভারের সিআরপি রোডের একটি বাড়ির ছাদ বাগানের গাছ দা দিয়ে কুপিয়ে কেটে দেয়ার অভিযোগে খালেদা আক্তার নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম।
এ সময় অভিযুক্ত ওই নারী উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি এ জন্য পুলিশ আমাকে আটক করেছে। গাছের প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ নাই। হাবিব সাহেব আমাকে বকাবকি করেছেন। আমাকে ছাদ থেকে ফেলে দিবেন, আমাকে মারবেন। আমাকে বার বার মারতে আসছে আপনারা ভিডিওতে দেখেননি।'
তিনি দাবি করেন, ‘কোনোভাবে গাছের ডাল ভাঙছে, সে আমাকে অভিশাপ দেয়।’
গাছগুলো কাটার জন্য অনুতপ্ত কিনা জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, ‘আমার সন্তানের চেয়ে গাছগুলো আমার কাছে বড় না। আমার সন্তানের হাতগুলা যেন লুলা হয়ে যায়, এটা সে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বলবে বলছে।'
‘হ্যাঁ আমি এই ঘটনায় অনুতপ্ত। আমি বলছি যে আমি যখন ভুল করছি আমি হাবিব ভাই আর হাবিব ভাইয়ের বউয়ের কাছে গিয়ে মাফ চাইবো। আমি ভুল করছি। রাগের বশেই আমি করে ফেলছি কাজটা, রাগ ছাড়া আমি করি নাই। আমি দরকার হয় মাফ চাইব।’
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ধারণ করে ফেসবুকে দেন লালমাটিয়া কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া হাবিব।
সুমাইয়া হাবিব বলেন, ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় তাদের দুটি ফ্ল্যাট আছে। গাছপালার শখ থেকে তিনি ও তার মা রত্না হাবিব ছাদে বাগান করেন। কিন্তু তাদের বাগানের বিষয়টি ভালো লাগেনি আরেক ফ্ল্যাটের মালিক খালেদার। তিনি সেগুলো কেটে দেন। গাছ কেটে দেয়ার এই দৃশ্য ভিডিও করে তিনি ফেসবুকে আপলোড করেন।
এদিকে গ্রিনসেভার্স নামের একটি সংগঠনের সভাপতি আহসান রনি ছাদ বাগানের মালিক রত্না হাবিবের হাতে ১০টি গাছের চারা তুলে দেন।
টাইমস/এএইচ/এসআই