রাজশাহীর চারঘাটে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার অভিযুক্ত স্বামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় চারঘাট থানা পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শলুয়া ইউপির ফতেপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত স্বামীর নাম তুফান শেখ ওরফে ভোবেশ। সে মন্ডলপাড়ার আব্দুল বারেকের ছেলে।
আর নিহত গৃহবধূর নাম নাসিমা। বুধবার সকালে নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ১৯ বছর পূর্বে ফতেপুর গ্রামের সিরাজ আলীর মেয়ে নাসিমার সঙ্গে বিয়ে হয় একই গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে তুফান শেখ ওরফে ভোবেশের। বিয়ের পর থেকে সংসার ভালোই চলছিল। এরই মাঝে নাসিমার গর্ভে দুইটি কন্যা সন্তান ও একটি পুত্র সন্তান জন্মলাভ করে।
নিহতের বাবা সিরাজ আলী জানান, তার জামাই তুফান শেখ ওরফে ভোবেশ একজন দিনমজুর হওয়ায় প্রায় ৩/৪ বছর ধরে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ফলে সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয়। বেশ কয়েকটি এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণ করে কিস্তির টাকা দিতে হিমশিম খেতে হয়। এসব কারণে সংসারে অশান্তির শুরু হয়।
সিরাজ আলী অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার দুপুরে কিস্তির টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভোবেশ তার স্ত্রীকে মারপিট করে গলায় ডিস লাইনের তার পেঁচিয়ে হত্যা করে এবং তার লাশ ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
পরে খবর পেয়ে তিনি মেয়ের বাড়িতে গিয়ে গরের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় নাসিমার লাশ দেখতে পায়। ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে চারঘাট মডেল থানার পুলিশ নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে এবং তার স্বামী তুফান শেখকে গ্রেপ্তার করে। পরে বুধবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল পাঠায়।
এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা সিরাজ আলী বাদী হয়ে তুফান শেখকে আসামী করে মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চারঘাট মডেল থানার ওসি সমিত কুমার কুন্ডু বলেন, থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
টাইমস/এইচইউ