শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় : জরুরি বৈঠকে ভিসি

২০ শতাংশ টিউশন ফি ছাড় ও অর্থনৈতিক ভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের শতভাগ ওয়েভার প্রদানসহ ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন স্থগিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া হবে বলে জানিয়ে খুদেবার্তা পাঠানোর পরেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ক্রমেই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জরুরি আলোচনায় বসেছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও উর্ধ্বতন কর্তারা।

এদিকে দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধ করেছেন। ছয় দফা দাবি আদায়ে দুদিন ধরে চলমান আন্দোলনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নিচ্ছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার দুপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে ২২ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মেনে নেয়ার কথা জানায়। কিন্তু আমরা তাদের এধরণের আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছিনা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন আশ্বাসে আন্দোলন থেকে ফেরার কোনো উপায় নেই। আগামী ২২ অক্টোবর থেকে আমাদের সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। আমাদের দাবি বাস্তবাযন করা না হলে আন্দোলন স্থগিত করা সম্ভব হবে না। সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা ছাড়া আমরা বাড়ি ফিরবো না।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, ২০ শতাংশ টিউশন ফি ছাড়, কোটা এবং ফলাফলের ওপর প্রাপ্ত ওয়েভারের সঙ্গে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ যুক্ত, অর্থনৈতিক সমস্যাগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের শতভাগ ওয়েভার প্রদান, সেমিস্টার ফি’র সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করা এবং শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা।

তবে আন্দোলনের প্রথমদিন রোববার টিউশন ফি মওকুফ ও বাড়তি ফি আদায় বন্ধের দাবিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অবরুদ্ধ করেন। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল আলোচনায় বসেন। কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আবুল সরকারের নামে ঢাকায় মামলা, তদন্তের নির্দেশ রমনা থানার ওসিকে Dec 01, 2025
img

বিডিআর প্রতিবেদন নিয়ে তাজুল ইসলাম

অগোচরে থাকা ব্যক্তিদেরও এখন বিচারের মুখোমুখি আনা সম্ভব Dec 01, 2025
img
বিমানবন্দরে ৪ নারীর কাছ থেকে উদ্ধার ১০২টি মোবাইল ফোন Dec 01, 2025
img
পাসপোর্ট নাকি ট্রাভেল পাস : তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বাড়ছে প্রশ্ন! Dec 01, 2025
img
রোনালদোর বিরল রেকর্ড স্পর্শ করলেন এমবাপে Dec 01, 2025
img
হবিগঞ্জ-৪ আসনে জামায়াতের প্রার্থী বদল Dec 01, 2025
img
খালেদা জিয়া হাসলে বাংলাদেশের মানুষও হাসে : আমানউল্লাহ আমান Dec 01, 2025
img
শৈশবের নির্যাতনের গল্পে ভেঙে পড়লেন জয়া ভট্টাচার্য Dec 01, 2025
img
রংপুরে ডাক পাওয়া কে এই ইতালির ক্রিকেটার Dec 01, 2025
img
রণবীরের ধুরন্ধর লুকে মুগ্ধ দীপিকা Dec 01, 2025
img
ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিটের চেষ্টায় চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে Dec 01, 2025
img
সামান্থার স্বামী কে এই রাজ নিদিমোরু? Dec 01, 2025
বাংলাদেশে কারাদণ্ড, যুক্তরাজ্যে বিপদে টিউলিপ! Dec 01, 2025
খালেদা জিয়াকে দেখে এসে যা বললেন সাকি Dec 01, 2025
দেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ Dec 01, 2025
শীর্ষ স্থান পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ রিয়াল, টানা তিন ম্যাচে ড্র Dec 01, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও খাবার বিতরণ Dec 01, 2025
img
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চীনের মেডিকেল টিম এভারকেয়ারে Dec 01, 2025
img
দর্শকরা আবারও আমাদের জুটি হিসেবে দেখতে চান : তৌসিফ Dec 01, 2025
img
খুব শিগগিরই দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে মনে হয় না: রুমিন ফারহানা Dec 01, 2025