রংপুর মেডিকেলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট  

রোগীর স্বজনদের হাতে চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৫ দফা দাবিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে হৃদরোগ বিভাগে রহিমা খাতুন নামে এক রোগী মারা যান। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলে রোগীর স্বজনরা কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা.হালিমা ও ডা.আলেয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং চিকিৎসক পরিষদের কার্যালয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন ডাক্তাররা।

ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এই ঘটনার জন্য ৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করছে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া, হাসপাতালে নিরাপত্তা বাড়ানো।

মারা যাওয়া রোগী রহিমা খাতুনের এক স্বজন জানান, মঙ্গলবার ভোরে রহিমা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তবে সেখানে কোন ডাক্তার পাওয়া যায়নি। এমনকি চিকিৎসকদের অনুরোধ করেও তাদের রোগীর কক্ষে নিয়ে আসা যায়নি। ফলে দেড় ঘণ্টা পর বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা যান। এর ফলে চিকিৎসকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর লাশ নিয়ে আমরা বাড়িতে চলে আসি। হাসপাতালে কোন ভাঙচুর করা হয়নি।

তিনি অভিযোগ করেন, অভিযোগ থেকে বাঁচতে তারা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য এই গল্প তৈরি করছেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা.আবরাবার জিসান জানান, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় রায় বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আকস্মিক ধর্মঘটে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

টাইমস/এসআর/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন Dec 26, 2025
img
বলিউড তারকাদের ‘বড়দিন’ উদযাপন কেমন কাটল? Dec 26, 2025
img
‘আজকের বাংলাদেশ পেতে ৪৭ থেকে ২৪ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে’ Dec 26, 2025
img
তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে জিয়া উদ্যান ও স্মৃতিসৌধের আশপাশে বিজিবি মোতায়েন Dec 26, 2025
img
কানাডায় গ্ল্যামারাস লুকে নুসরাত! Dec 26, 2025
img
দিব্যা ভারতীর মৃত্যুর আগে জীবনে ঘটে যাওয়া নাটকীয় ঘটনা Dec 26, 2025
img
আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পেজ রিমুভ, জানালেন কারণ Dec 26, 2025
img
জাতির ওপর থেকে এখনও কালো ছায়া যায়নি: জামায়াত আমির Dec 26, 2025
img
বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই ছেলে ও হৃতিক, ছড়ালেন খুশির ছোঁয়া Dec 26, 2025
img
নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে কারাগারে ২ জন Dec 26, 2025
img
২১ দিনে আয়ের রেকর্ড গড়ল ‘ধুরন্ধর’ Dec 26, 2025
img
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ভোটার পোস্টাল ব্যালটের নিবন্ধন ছাড়াল ৪১ হাজার Dec 26, 2025
img
তারেক রহমানের ভোটার হতে আইনি কোন বাধা নেই: ইসি মাছউদ Dec 26, 2025
img
আত্মপ্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দল জাতীয় মুসলিম জোট Dec 26, 2025
img
চমকের ‘চুড়ি ছাম ছাম’ লুকে মুগ্ধ দর্শকমহল! Dec 26, 2025
img
বিরোধী দল ছেড়ে শাসকদলে যোগ দিচ্ছেন অভিনেত্রী পার্নো মিত্র! Dec 26, 2025
img
বিশ্ববাজারে স্বর্ণ-রুপা ও প্লাটিনামের দামে নতুন রেকর্ড, নেপথ্যে কী? Dec 26, 2025
img
‘আমরা এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাই, যেখানে অস্ত্র, মাদক ও সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই’ Dec 26, 2025
img
অসুস্থতার মধ্যেও শেষ শুটিং করেছিলেন ইরফান খান! Dec 26, 2025
img
ওসমান হাদি হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন অটোরিকশা চালক Dec 26, 2025