প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য হিসেবে মনোনীত করার একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনের পর এর প্রথম সভার সভাপতি উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য করার প্রস্তাব দেন।। বৈঠকে ডাকসুর কেন্দ্রীয় ২৫ নেতার মধ্যে ২৪ জন এ প্রস্তাবে সম্মতি দেন। প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিলেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর।
এর আগে ডাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলার হল রুমে সকাল সাড়ে ১১টায় কার্যকরি সভা শুরু হয়। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।
সভার শুরুতেই উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় ডাকসুর নির্বাচন হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইছে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করা হোক।
এই প্রস্তাবের বিষয়ে ভিপি নুরুল হক বলেন, এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আছে। তাই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে যে ডাকসু গঠিত হয়েছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর মতো সম্মানিত ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত না করাই ভালো।
নতুন ডাকসুর প্রথম কার্যকরি সংসদের বৈঠকে অংশ নিতে সকাল সাড়ে ১১টার আগেই ডাকসু ভবনে উপস্থিত হন নুর। তার সঙ্গে সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেনও ছিলেন। নতুন ডাকসুর এই দুই নেতা সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা। বাকি সবাই ছাত্রলীগের।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ডাকসু এবং ১৮টি হল সংসদের নির্বাচন শেষ হয় কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে কয়েকটি প্যানেলের বর্জনের মধ্যে দিয়ে। কোটা আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বাম জোট, ছাত্রদল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুটি জোটের প্যানেল নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
ডাকসুতে ২৫টি পদের ২৩টিতে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ জিতলেও ভিপিসহ দুটি পদে জয় পায় কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনকারীদের প্যানেল। নুর ভিপির দায়িত্ব নিলেও পুনর্নির্বাচনের দাবিকেও সমর্থন করছেন।
টাইমস/এসআই