নিয়োগ–বাণিজ্যে ও অননুমোদিত ছুটির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাজা পেয়েছেন কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক। এছাড়া পৃথক অভিযোগে এক বাসচালককেও সাজা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪৪তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আবদুল লতিফ।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ বিকুল। এই দুজনের বিরুদ্ধে নিয়োগ–বাণিজ্যের অডিও ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যথাক্রমে অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি করা হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত অপর দুই শিক্ষক হলেন আইন বিভাগের অধ্যাপক গাজী ওমর ফারুক ও ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারেকুজ্জামান। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগে অনিয়মিত ও অননুমোদিত ছুটির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওমর ফারুককে বাধ্যতামূলক অবসর ও তারেকুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এদিকে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক সঞ্জয় কুমারের বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে ওই ছাত্রীর কোনো কোর্সের ক্লাস বা পরীক্ষা নিতে পারবেন না তিনি। এ ছাড়া তেল জালিয়াতির অভিযোগে মনসুর নামে এক বাসচালককে অবসর দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইবি ভিসি অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। সিন্ডিকেটের সব সদস্যের সর্বসম্মতি ও মতামতের ভিত্তিতে সাজার বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
টাইমস/জিএস