ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় পাওনা সাতশত টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক রিকশাচালক খুন হয়েছেন। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর মূল হোতা বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। একই সঙ্গে বাবুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শাহজাহানের দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হাসান।
নিহত ব্যক্তির নাম শাহজাহান। তিনি উপজেলার গড়বাজাইল গ্রামের মৃত হালিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
গ্রেপ্তার বাবুল মুক্তাগাছা থানার বানিয়াকাজী গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে।
বাবুলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আবিদ হোসেন বলেন, ৩১ মার্চ মুক্তাগাছার বানিয়াকাজী গ্রামের তাইজুল মাস্টারের পুকুর থেকে শাহজাহান নামে এক যুবকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিনই নিহতের বড় ভাই ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ সুপার জানান, বাবলু নিহত শাহজাহানের কাছ থেকে ৭শ' টাকা পেতো। টাকা না দেওয়ায় ৩১ মার্চ বাবলু মিয়াকে এক নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে যায়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে বাবুল ঘুষি দিলে শাহজাহান অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সময় বাবুল তাকে কাঁধে করে নিয়ে ওই ফিশারির পাড়ে ফেলে রাখে। পরে নিজ বাড়ি থেকে দা এনে শরীর থেকে গলা বিচ্ছিন্ন করে বাবলু। হত্যার পর ঘটনাস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দূরের একটি ডোবায় কচুরিপানার ভেতর মাথা লুকিয়ে রাখে।
তিনি আরও জানান, মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। শনিবার শাহজাহান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শাহজাহানকে হত্যার কথা স্বীকার করে। একই সঙ্গে শাহজাহান হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন তিনি। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত শাহজাহানের বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
টাইমস/এইচইউ