ভারি অস্ত্র নিয়ে ২২ বছর পর সেন্ট মার্টিনে বিজিবি

পর্যটন কেন্দ্র সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিরাপত্তার স্বার্থে ২২ বছর পর আবার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী(বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে বিজিবির এক প্লাটুন সদস্য ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দেশের সর্বদক্ষিণের এই দ্বীপে অবস্থান নেয়। এখন থেকে তারা সেখানে সীমান্ত নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর কর্মকর্তারা।

রোববার সরকারি একটি নির্দেশনা বিজিবির সদর দপ্তরে পৌঁছানোর পর 'ভারি অস্ত্রসহ' সেন্ট মার্টিনে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটিতে ২২ বছর পর আবার বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আজ (রোববার) সকালে টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য রওনা দেয়। তারা সেখানে অবস্থান করে সীমান্ত নিরাপত্তায় নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবে।’

উপকূল রক্ষী বাহিনী কোস্টগার্ডের পাশাপাশি এখন মিয়ানমার সীমান্তবর্তী সেন্ট মার্টিনে দায়িত্ব পালনে থাকবে বিজিবি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামান বলেন, ‘মূলত চোরাচালান, মাদকপাচার ও মানবপাচার প্রতিরোধের পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষার উদ্দেশ্যে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এটা বিজিবির নিয়মিত কাজেরই অংশ।’

সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, বেলা ১২টার দিকে শতাধিক বিজিবি সদস্য দ্বীপটি পৌঁছেছে। এর আগে ৩০ মার্চ থেকে দ্বীপটিতে ২০/৩০ জনের মতো বিজিবি সদস্য অবস্থান করছিলেন বলে জানান তিনি।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘হঠাৎ করে ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ বিজিবি সদস্যদের দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছিল।’

১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা সেন্ট মার্টিনে মোতায়েন ছিল।

বিজিবি কর্মকর্তা জামান বলেন, ‘পরে কোস্টগার্ড গঠিত হলে দ্বীপটিতে সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব সংস্থাটিকে দেওয়া হয়।’

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বৃহস্পতিবার পে কমিশনের সঙ্গে বসছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা Oct 29, 2025
img
প্রথম ছবির অভিজ্ঞতা ও বাবার পরামর্শ শেয়ার করলেন কোয়েল মল্লিক Oct 29, 2025
img
মতিঝিল-কমলাপুর সেকশনের মেট্রোরেলে ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয়! Oct 29, 2025
img
এক লাফে আবারও বাড়ল সোনার দাম, বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর Oct 29, 2025
img
মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে থেকে নায়ক, অঙ্কুশের আবেগঘন গল্প Oct 29, 2025
img
যুদ্ধ বন্ধ না করলে ভারত-পাকিস্তানকে ২৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প! Oct 29, 2025
img
বরাদ্দ বাড়াতে সরকারকে চসিক মেয়রের আহ্বান Oct 29, 2025
সকাল সন্ধ্যার গুরুত্বপূর্ণ ৩টি দোয়া Oct 29, 2025
রাশমিকার নতুন জীবনের শুরু, এবার মা হওয়ার ইচ্ছা Oct 29, 2025
অবৈধ মোবাইল নিয়ন্ত্রণে নতুন ধাপ: এনইআইআর কার্যক্রম শুরু Oct 29, 2025
img
নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে এনসিপি Oct 29, 2025
নসিপি কি সরকারি প্রতিষ্ঠান? ব্যাকডেট চাকরি প্রত্যাশিদের ডিসি মাসুদ Oct 29, 2025
বিচারক মহোদয়ের কাছে যে প্রশ্ন রাখলেন নুরুল হক নুর Oct 29, 2025
কেন একই দিনে গণভোট চায় বিএনপি? জানালেন সালাহউদ্দিন Oct 29, 2025
img
অবসরের পরে নিজের মূল্যায়ন করবেন দেব! Oct 29, 2025
রাজধানীতে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন Oct 29, 2025
ফ্রিতে কুরআন পেয়ে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা! Oct 29, 2025
img
যমজ সন্তানের বাবা হওয়ায় দেরিতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ক্যাবরেরা Oct 29, 2025
img
নভেম্বরকে টার্গেট করেছে দেশি-বিদেশি চক্র, সতর্ক না হলে সর্বনাশ: রনি Oct 29, 2025
'উনি শান্তিতে নোবেল পাইছে, ওনার দেশের শিক্ষকরা কেন রাজপথে ?' Oct 29, 2025