ধর্ষণের পর কিশোরীর হাত-পা বেঁধে ফেলে গেল ড্রেনে

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী রুপা (ছদ্মনাম)। শুক্রবার রাত নয়টার দিকে পাশের বাড়িতে মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে যায় ১৪ বছর বয়সী রুপা। সে বাড়ি ফেরার পথে ওঁৎ পেতে থাকা দুই যুবক তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। ধর্ষণের পর হাত-পা ও মুখ বেঁধে রুপাকে একটি শ্যালো মেশিনের পানিপ্রবাহের ড্রেনের মধ্যে ফেলে রেখে যান দুর্বৃত্তরা।

রুপার বাবার ভাষ্য, মেয়েকে যখন উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পরে বাড়ি এসে জানতে পারেন, মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে পাননি। ভোরে গ্রামের লোকজন খবর দেন, তার মেয়ে মাঠের মধ্যে পড়ে আছে। ড্রেনের মধ্যে মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখে ভেবেছিলেন, মেয়েটি মারা গেছে। পরে দেখেন, মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে মেয়েটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। দুজনের মধ্যে একজনকে সে চিনতে পেরেছে বলে জানিয়েছে।

কোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম জানান, তিনি ঘটনা শুনেছেন। মেয়েটিকে ড্রেনের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল, সেটাও শুনেছেন। বিষয়গুলো তারা তদন্ত করছেন। থানা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। এরপর থানায় মামলা হবে। দুই যুবককে আটকের চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: