সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকির ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে মামলাটি করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা.ফেরদৌস হাসান। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি নং-৬১৭ দায়ের করেছিলেন ডা. ফেরদৌস হাসান।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিঞা জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. নাজিফাকে ধর্ষণ ও ছোরা দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সারোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করা হয়। মামলায় ১২ জন চিকিৎসককে সাক্ষি হিসেবে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ফেরদৌস হাসান বলেন, চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের দাবি জানানো হয়েছিল। আমরা মামলা করেছি। এখন পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পেটের পীড়ায় ভোগায় একজনকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রোগীর সঙ্গে একজন থেকে বাকিদের বাইরে যেতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চিকিৎসক নাজিফা আনজুম নিশাতকে ছুরি দেখিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক। নিশাত নিজের ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি উল্লেখ করে পোস্ট দিলে এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
টাইমস/এইচইউ