এনজিও’র উস্কানিতে যেতে রাজি হচ্ছে না রোহিঙ্গারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কিছু এনজিওর তৎপরতা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার দিনই সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় ওঠে। মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এই অভিযোগ শুনে ওই এনজিওগুলোকে চিহ্নিত করার সুপারিশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সফল না হলেও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, থেমে না গিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। মিয়ানমারে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য বহু পক্ষীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর আগে গত বছর নভেম্বর মাসে একই রকমের একটি প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারণেই ভেস্তে যায়।

এবার এক হাজার ৩৩ টি পরিবারের সাক্ষাৎকার নেয়া হলেও আবারো বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মিয়ানমারের প্রতি আস্থাহীনতা ও রোহিঙ্গাদের ৫ দফা দাবি।

বিষয়টি দুঃখজনক আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও বলেন, রোহিঙ্গাদের আস্থার যে ঘাটতি আছে, তা মিয়ানমারকেই দূর করতে হবে।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনার পর কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, কিছু কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের বোঝাচ্ছে, তারা যেন নিজ দেশে না যায়। এনজিওরা বোঝাচ্ছে, নাগরিকত্বসহ কিছু শর্ত পূরণ না হলে যেন তারা না ফিরে যায়। কমিটি এসব এনজিওদের কাজ মনিটরিং করে তাদের চিহ্নিত করতে বলেছে।

ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এ মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, আব্দুল মজিদ খান, কাজী নাবিল আহমেদ ও নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) অংশ নেন। পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব খোরশেদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে। যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশে আসে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর। ওই সময়ে মিয়ানমার থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img

নুরুল হাসান সোহান

এমন কিছু করা উচিত না যাতে করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় Dec 26, 2025
img
বোলারদের তাণ্ডবে মেলবোর্নে শেষ পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর লো স্কোর থ্রিল Dec 26, 2025
img
ইমন ঝড়ে রাজশাহীকে বড় লক্ষ্য দিলো সিলেট Dec 26, 2025
img
ভোটাধিকার ও গণভোটের বার্তা নিয়ে সাতক্ষীরায় নেমেছে ‘ভোটের গাড়ি’ Dec 26, 2025
img
উপদেষ্টারা শাহবাগে না আসা পর্যন্ত স্থান ছাড়ব না : জাবের Dec 26, 2025
img
১৯ বছর পর বাবার কবরে শ্রদ্ধা জানালেন তারেক রহমান Dec 26, 2025
img
এবার তেলবাহী বিদেশি ট্যাংকার জব্দ করল তেহরান Dec 26, 2025
img
৩০০ ফিট সমাবেশস্থল থেকে ১৪৮ টন বর্জ্য অপসারণ করলো ডিএনসিসি Dec 26, 2025
img
গানম্যান নির্ভর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন আখতার হোসেনের Dec 26, 2025
img
শিবিরকে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে একদল অপপ্রচার চালাচ্ছে : গোলাম পরওয়ার Dec 26, 2025
img
‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো’ স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ Dec 26, 2025
img
ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারি কীভাবে নির্বাচিত হন Dec 26, 2025
img
ব্যারিকেড ভেঙে মঞ্চে দর্শক, স্থগিত কৈলাস খেরের কনসার্ট Dec 26, 2025
img
ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার ছাত্রশিবিরের : বিদায়ী সভাপতি Dec 26, 2025
img
আমিনুল হকের নেতৃত্বে ৩০০ ফিটের সব বর্জ্য পরিষ্কার করল বিএনপি Dec 26, 2025
img

জামায়াত সেক্রেটারি

ছাত্রশিবিরের আদর্শকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে একদল অপপ্রচার চালাচ্ছে Dec 26, 2025
img
জনগণকে শাহবাগে আসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান Dec 26, 2025
img
বছরের শেষ সময়ে একসঙ্গে জায়েদ-ফারিয়া Dec 26, 2025
img
বাস্তব জীবনে নারীর সম্ভ্রম বাঁচিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত মার্কিন অভিনেতা Dec 26, 2025
img
ফরিদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ গেল বিএনপি নেতার Dec 26, 2025