বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে ‘শোক র্যালি’ করতে দেয়নি পুলিশ।
রোববার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা র্যালি সহকারে জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় ফটক দিয়ে বেরিয়ে ১০০ গজ সামনে কদম ফোয়ারার কাছে যাওয়ার পরই বাধা দেয় পুলিশ।
উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা ‘র্যালি করা যাবে না’ বলে জানান। ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্না জবাবে বলেন, ‘আমরা শোক র্যালি করব।’
পুলিশি বাধায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রব বলেন, ‘এখানে আমাদের শান্তিপূর্ণ র্যালি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। আমি বলতে চাই, এখানে আপনারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। সারা বাংলাদেশের ঘর থেকে বেরুলে রাস্তা বন্ধ করবেন কীভাবে? প্রত্যেকের ঘর থেকে বেরোবে, সব পুলিশ, আর্মি, নেভির ঘর থেকে বেরোবে। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বলছি, আপনার ঘরের মা-বোনদের জিজ্ঞাসা করেন তারা বিক্ষুব্ধ কি না? আমরা এভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ র্যালি চলার পথ বন্ধ করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।’
পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক চলার মধ্যে প্রায় ৬ থেকে ৭ মিনিট কালো পতাকা হাতে নেতা-কর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ। ঐক্যফ্রন্টের এই শোক র্যালি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
র্যালিতে যোগ দিয়েছিলেন কামাল হোসেন। পুলিশ কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়ার পর কামাল হোসেনের গাড়িটি চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
কর্মসূচিতে বিএনপির ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, শ্যামা ওবায়েদ, জেএসডির তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণফোরামের আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, মোশতাক আহমেদ, লতিফুল বারী হামিম, নাগরিক ঐক্যের এসএম আকরাম, শহীদুল্লাহ কায়সার, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্প ধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, শাহ আহমেদ বাদল, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী যোগ দিয়েছিলেন।
টাইমস/এসআই