ঐক্যফ্রন্টের তিন কর্মসূচী

‘জাতীয় সংলাপ’সহ তিন কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে হওয়া এক বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এই সিদ্ধান্ত নেন।

বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে এসব কর্মসূচীর কথা জানান বিএনপির মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কর্মসূচীতে ‘জাতীয় সংলাপ’ ছাড়াও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করা ও নির্বাচনে সহিংসতা হওয়া এলাকায় গণসংযোগের কর্মসূচি রয়েছে। তবে কর্মসূচী শুরু বিষয়ে কোন সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন দেশের মালিক জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপব্যবহার করে এবং সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকাকে নিষ্ক্রিয় করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ফলে জনগণ নিজেদের মত প্রকাশের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার তথা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে তিনটি কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলা হয়েছে, কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেটের বালাগঞ্জে যাবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জনগণ যে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি বাছাই করে নিতে পারত, সেই নির্বাচন হয়নি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু প্রমুখ।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫ টায় শুরু হয়ে প্রায় একঘন্টা ব্যাপী চলে বৈঠক।

 

টাইমস/এসআর/এইচইউ

Share this news on: