খালেদা জিয়ার সাজা বাতিলের বিষয়ে শুনবে হাইকোর্ট

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাত বছরে সাজা বাতিল ও খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ওই মামলায় বিচারিক আদালতে দেয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। সম্পত্তি জব্দের আদেশে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন আদালত।

মঙ্গলবার এ আদেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ । একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে থাকা ওই মামলার নথিপত্র দুই মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া জামিন চেয়ে খালেদার করা আবেদনটি নথিভুক্ত করেছেন আদালত। শুনানিকালে আদালত খালেদার আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, অন্য একটি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে তার (খালেদা জিয়ার) পাঁচ বছরের সাজা হয়েছিল। উচ্চ আদালতে এ সাজা বেড়েছে। ওই মামলায় জামিন না হলে তিনি মুক্তি পাবেন না। বিষয়টি জরুরি দেখছি না। নথি আসুক, তখন জামিনের আবেদনটি দেখা হবে।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন। তার সঙ্গে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সিরকার, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২৩ এপ্রিল বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করলে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মঙ্গলবার আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর ওই মামলায় রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক। রায়ে ওই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করেছেন, যার গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি হলো আজ।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি Oct 25, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিতে আহত বিএনপি নেতা, পাঠানো হলো ঢাকায় Oct 25, 2025
img
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই: সুপ্রদীপ চাকমা Oct 25, 2025
img
ল্যাটিন আমেরিকায় রণতরী মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র: পেন্টাগন Oct 25, 2025
img

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই

আফগানদের বিপক্ষে খেলবেন হামজা চৌধুরী Oct 25, 2025
img
গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে ৮ রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ঘোষণা Oct 25, 2025
img
আমরা গণভোট চাই না, চাই আপনাদের ভোট : মুশফিকুর রহমান Oct 25, 2025
img
আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস Oct 25, 2025
img
সিডনিতে টস জিতে আগে ব্যাট করবে অস্ট্রেলিয়া Oct 25, 2025
img
ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে আজ Oct 25, 2025
img
এবার কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পেত্রোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Oct 25, 2025
img
গায়িকা নয়, হতে চেয়েছিলেন একজন অর্থনীতিবিদ Oct 25, 2025
img
৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠক করবেন ট্রাম্প -শি জিনপিং Oct 25, 2025
img
দলীয় পদ ফিরে পেলেন বিএনপি নেতা বাচ্চু Oct 25, 2025
img
নায়িকা' তকমার চেয়ে 'অভিনেত্রী' তকমাটা আমার বেশি পছন্দের: অপর্ণা সেন Oct 25, 2025
img
মেসির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় Oct 25, 2025
img
স্বর্ণ কিনবেন? জেনে নিন দেশে কত দামে বিক্রি হচ্ছে আজ Oct 25, 2025
img
বিশ্বে স্বর্ণের বাজার আবার চাঙা হয়ে উঠেছে, বাংলাদেশে ভরি কত করে? Oct 25, 2025
img
অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এশিয়া কাপের ট্রফি দাবি ভারতীয় মিডিয়ার Oct 25, 2025
img
বগুড়ায় আ. লীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গ্রেপ্তার Oct 25, 2025