আশুলিয়ায় জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে লুটপাট, হত্যাচেষ্টার মামলা

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে নাছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি ঢাকার আশুলিয়া থানায় বুধবার রাতে একটি মামলা করেছেন। মামলায় জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে লুটপাট, ভাঙচুর, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বাদী নাছির উদ্দিন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক। তিনি আশুলিয়ার নলাম এলাকার বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আশুলিয়ার বাঁশবাড়ি মৌজায় নাছির উদ্দিন ও তার ভাই আবু বক্করের ১৬ শতাংশ জমি আছে। ওই জমিতে তাদের পিতা হাজি এফাজ উদ্দিনের নামে একটি মার্কেট রয়েছে। ওই মার্কেটে একটি হোটেলসহ ২০টি দোকান রয়েছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলা চালিয়ে হোটেলসহ ১৪টি দোকান ভাঙচুর করেন। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আসামিরা ২টি এসি, ৩টি ফ্রিজ, ১টি এলইডি টেলিভিশন, ৯টি সিলিং ফ্যান, সাউন্ড সিস্টেম, স্বর্ণের চেইন ও নগদ অর্থ লুট করেন। এ ছাড়া ওই জমিতে গেলে জমির মালিকদের হত্যা করার হুমকি দেন আসামিরা। হামলার সময় হোটেলের মালিক সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়। আসামিরা সাজ্জাদের গলা চিপে ধরে হত্যা চেষ্টা চালান।

মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম, সমন্বয়ক আবদুল কাদের, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পিএইচএ ভবনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্তুজা আলীসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এই মামলায় ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে মার্কেট গুঁড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, নাছির উদ্দিন ‘বিশেষ সময়ে’ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমির অবস্থান পাথালিয়া মৌজায়। নাছির উদ্দিনের মালিকানাধীন জমির অবস্থান বাঁশবাড়ি মৌজায়।

হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, কারা হামলা করে মার্কেট ভেঙে দিয়েছে তা তাদের জানা নেই।

 

টাইমস/এসআই

 

 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাই-আগস্টে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়লো ২০৪ মিলিয়ন ডলার Oct 10, 2025
img
আর নেই সালমানের সহ-অভিনেতা Oct 10, 2025
img
মাঠের নীরবতা নিয়ে ইংলিশ সমর্থকদের ওপর চটেছেন টুখেল Oct 10, 2025
img
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযুক্তরা দায়মুক্তি পাচ্ছেন : আসিফ নজরুল Oct 10, 2025
img
সাভারে কোটি টাকার বিষ্ণু মূর্তিসহ গ্রেপ্তার ১ Oct 10, 2025
img

নোবেল শান্তি পুরস্কার

নাম ঘোষণার আগমুহূর্তে ট্রাম্পের পক্ষে রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট! Oct 10, 2025
img
জুলাই সনদের স্বাক্ষরকে ইতিবাচক দেখছে বিএনপি: রিজভী Oct 10, 2025
img
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত কারাগারে আটক থাকা চিকিৎসক আবু সাফিয়া Oct 10, 2025
img
আজ জানা যাবে ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পাচ্ছেন কিনা! Oct 10, 2025
img
আমরা তো শাপলা দিতে বাধা দেইনি, ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন? : মির্জা ফখরুল Oct 10, 2025
img
ফি দিতে না পেরে, ভারতে মেঝেতে বসেই পরীক্ষা দিতে হলো ১ শিক্ষার্থীকে! Oct 10, 2025
img
গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য আপনার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য, ফোন কলে ট্রাম্পকে সিসি Oct 10, 2025
img
গাজার সত্য প্রকাশের জন্য আমরা সাংবাদিকদের কাছে ঋণী: পোপ লিও Oct 10, 2025
img
এক চার্জেই মোবাইল ফোন চলবে টানা ৮০ বছর! Oct 10, 2025
img
রাজধানী থেকে বগুড়ার আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার Oct 10, 2025
img
যুদ্ধবিরতিতে সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত জাতিসংঘ: গুতেরেস Oct 10, 2025
img
বিচ্ছেদের পর হাঁটুর বয়সী মডেলের সঙ্গে হার্দিকের প্রেমের গোপন মুহূর্ত ফাঁস Oct 10, 2025
img
অবসরের আগে রোহিত-গম্ভীরের কথা শোনেননি অশ্বিন Oct 10, 2025
img
জাতীয় দলের কোচ হিসেবে সর্বোচ্চ বেতন পান আনচেলত্তি, স্কালোনি ১০ নম্বরে Oct 10, 2025
img
সমালোচনার ঝড়ে ক্যাবরেরা, সংযত অবস্থানে বাফুফে সভাপতি Oct 10, 2025