ছবি তুইলেন না, আমার একটা মানসম্মান আছে: জি কে শামীম

রাজধানীর নিকেতনে র‍্যাব অভিযান চালিয়ে যুবলীগের নেতা জি কে শামীমকে তার সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তার অফিস থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পেয়েছে র‌্যাব।

শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে জি কে শামীমের নিকেতনের ডি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসা ঘিরে ফেলে র‌্যাব।  এর আগে নিকেতন এলাকায় জি কে শামীমের আরেকটি বাসা থেকে তাকে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে আটক করেই অভিযান চালায় র‌্যাব।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের দেখে বিব্রত হয়ে যান শামীম। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে ছবি তুইলেন না, আমাকে বেইজ্জতি কইরেন না। আমার একটা সম্মান আছে। এখানে যা হচ্ছে, আপনারা দেখছেন। কিন্তু আমাকেও আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দিতে হবে। প্লিজ ছবি তুলবেন না।’

তখন র‍্যাবের এক কর্মকর্তা শামীমকে বলেন, ‘আপনি আমাদের সহযোগিতা করেন। আমাদের সহযোগিতার জন্য ও অভিযানের স্বচ্ছতার জন্য মিডিয়া আমাদের সহযোগিতা করছে।’

জি কে শামীম র‍্যাবের অভিযান চলাকালে সাংবাদিকদের ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। নিজের চেয়ারে বসে মুখ ঢাকছিলেন তিনি। কখনো টেবিলের নিচে কিছু খুঁজছিলেন, কখনো বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকছিলেন তিনি।

অভিযান শেষে র‍্যাবের নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলম উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করে রাখা ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার নথি তারা শামীমের অফিস কক্ষে পেয়েছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশ তার মায়ের নামে রাখা। এর পাশাপাশি ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার মার্কিন ডলার এবং ৭৫২ সিঙ্গাপুরি ডলার সেখানে পাওয়া গেছে।

সারওয়ার আলম বলেন, ‘মোট আটটি আগ্নেয়াস্ত্র আমরা পেয়েছি। এগুলো বৈধ অস্ত্র বলেই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তবে এগুলোর অবৈধ ব্যবহারের তথ্য রয়েছে।’

শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। গণপূর্ত ভবনে ঠিকাদারি কাজে তার দাপটের খবর ইতোমধ্যে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।

এক সময় যুবদলের রাজনীতি করা শামীম পরে যুবলীগে ভেড়েন। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক পরিচয় দিয়েই তিনি প্রভাব খাটিয়ে আসছিলেন।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানা‌তে ঢাকায় আসছেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী Dec 30, 2025
img
আমি বেগম জিয়ার হাত থেকেই রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছি: নান্নু Dec 30, 2025
img
বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এনসিপি নেতৃবৃন্দের Dec 30, 2025
img
বেগম জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় ছুটছেন নোয়াখালীর নেতাকর্মীরা Dec 30, 2025
img
খালেদা জিয়ার মৃত্যু: শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন ডা. তাহের Dec 30, 2025
img
জুলাই যোদ্ধা শফিক আর নেই Dec 30, 2025
img
খালেদা জিয়াকে নিয়ে ডাকসু নেতার বিতর্কিত পোস্ট, ক্ষোভের মুখে দুঃখ প্রকাশ Dec 30, 2025
img
মির্জা ফখরুলের মোট ৪ কোটি টাকার সম্পদ, বার্ষিক আয় ১১ লাখ Dec 30, 2025
img
৩০ বছর পর শিবপ্রসাদের সঙ্গে বড়পর্দায় অর্জুন চক্রবর্তী Dec 30, 2025
img

খালেদা জিয়ার মৃত্যু

শোকবইয়ে স্বাক্ষর করেছেন তিন উপদেষ্টা Dec 30, 2025
img
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের শোক Dec 30, 2025
img
‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’ এ অঙ্কুশের হাত-মুখ বাঁধলেন ঐন্দ্রিলা! Dec 30, 2025
img
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত সিল করবে বিজেপি: অমিত শাহ Dec 30, 2025
img
‘আমরা শৈল্পিক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী’, ‘গালওয়ান’ নিয়ে চীনকে ভারতের পাল্টা জবাব Dec 30, 2025
img
আগামীকাল দেশের সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ Dec 30, 2025
img
শীতের তীব্রতার মাঝে ‘অকাল বৃষ্টি’র দুঃসংবাদ Dec 30, 2025
img
নতুন বছরে স্থগিত এআর রহমানের কলকাতার কনসার্ট Dec 30, 2025
img
শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন আমির খানের মেয়ে ইরা Dec 30, 2025
img
খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করছে সরকার Dec 30, 2025
img
নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও খালেদা জিয়া কখনো আদর্শ থেকে সরে যাননি : তৌহিদ হোসেন Dec 30, 2025