মনোযোগ ধরে রাখবে বিশেষ গেইমিং অ্যাপ

আধুনিক এই ব্যস্ত জীবনে ব্রেইনের একাগ্রতা ও মনোযোগ ধরে রাখা অনেক কঠিন। কারণ, আপনি কোনো একটা কাজ করছেন, কিন্তু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক ঘটনা বারবার আপনার কাজের একাগ্রতা নষ্ট করে দিতে পারে।

বিশেষ করে আপনার সঙ্গে থাকা মোবাইলে বারবার ফোন, এসএমএস কিংবা ইমেইল আসতে পারে। এতে আপনার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। কাজের ছন্দ পতন হয়। আপনি কোনো একটা বিষয় গভীরভাবে ভাবছেন। কিন্তু আকস্মিক এই ছন্দ পতনে আপনার ব্রেইন থেকে সেই চিন্তা চলে যেতে পারে।

আধুনিক জীবনের এই সমস্যার সমাধান করতে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এক বিশেষ ধরনের ব্রেইন ট্রেইনিং গেইম উদ্ভাবন করেছেন। ‘ডিকোডার’ নামে পরিচিত এই গেইমিং অ্যাপ মানুষের মনোযোগ উন্নত করবে এবং ব্রেইনের একাগ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে বলে গবেষকরা দাবি করেছেন।

সম্প্রতি ‘ফ্রন্টশায়ার ইন বিহ্যাভিয়রাল নিউরোসাইন্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল নিউরো সাইকোলজিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণাদলের প্রধান বারবারা সাহাকিয়ান বলেন, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তির কারণে আমাদেরকে একই সময়ে অনেকগুলো কাজ করতে হয়। এতে আমাদের মনোযোগ বারবার পরিবর্তন হয় এবং মানুষ সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।

নতুন উদ্ভাবিত এই গেইম খেলার সময় এটি ব্যক্তিকে ২-৪-৬, ৩-৫-৭, ৪-৬-৮ এভাবে বেশ কিছু নাম্বারের সিরিজ সনাক্ত করতে বলবে। এই ধরনের সংকেত ব্যবহারের ফলে ব্যক্তির মনোযোগ ধরে রাখার সামর্থ্য উন্নত হবে।

অধ্যাপক বারবারা বলেন, এটা একটা আনন্দের ব্যাপার, যেখানে ব্যবহারকারীকে অনেকগুলো নাম্বার সিরিজের সিকোয়েন্স সনাক্ত করতে হবে। এজন্য তাকে এ কাজে অত্যন্ত মনোযোগী হতে হবে, যা মোবাইল রিসিভ করা বা ইমেইল চেক করতে চিন্তা করার সুযোগ দেবে না।

গেইমটি ব্যবহারের জন্য ব্যক্তি কাজের ফাঁকে বা বিরতির সময় দশ মিনিট সময় নিয়েই খেলতে পারবে। এজন্য সময় বের করতে তাকে খুব একটা পরিকল্পনা করার প্রয়োজন হবে না বলে জানান অধ্যাপক বারবারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ভাবিত এই গেইমটি নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে যে, যারা গত এক মাসে অন্তত আট ঘণ্টা ‘ডিকোডার’ গেইমটি খেলেছেন তাদের মনোযোগ সামর্থ্য যারা অন্যান্য গেইম খেলেছে বা আদৌ কোনো গেইম খেলেনি তাদের থেকে উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রপথিক বেগম জিয়া : মাহবুবুর রহমান Dec 05, 2025
img
ইমরান খান মানসিকভাবে অসুস্থ ও জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি : আইএসপিআর ডিজি Dec 05, 2025
img
ব্রাজিলের কাছে ৪-০ গোলে হারল বাংলাদেশ Dec 05, 2025
img
কীভাবে তৈরি হল ভূতেদের ‘ট্যাঙ্গো’ ঘরানার ‘পার্টি অ্যান্থেম’? Dec 05, 2025
img
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের শত শত ফ্লাইট বাতিল Dec 05, 2025
img
অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর হচ্ছে পর্তুগাল Dec 05, 2025
img
ওয়ার্নার ব্রোস ও এইচবিও কেনার ঘোষণা নেটফ্লিক্সের Dec 05, 2025
img
বাংলাদেশে নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই : শিশির মনির Dec 05, 2025
img
বিজয় দিবসে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবেন শান্ত-মিরাজরা Dec 05, 2025
img
বিশ্ববাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম Dec 05, 2025
img
মুন্সিগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭ Dec 05, 2025
img
চীনে একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পরীক্ষার খাতা চিবিয়ে খেল হরিণ Dec 05, 2025
img
অহেতুক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে রাজি নন শ্রুতি দাস Dec 05, 2025
img
প্রতিরক্ষা বাজেট ৩৪.৭ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে ইসরায়েল Dec 05, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে তা কেউ বানচাল করতে পারবে না : রাশেদ খান Dec 05, 2025
img
পশ্চিমবঙ্গে বাবরি মসজিদ বানাতে চাওয়া বিধায়ককে বহিষ্কার, উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি Dec 05, 2025
img
ইংল্যান্ডের ক্লাবের দায়িত্বে বাংলাদেশের সাবেক কোচ Dec 05, 2025
img
পরিবেশ দূষণ রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার উদ্যোগ ডিএসসিসির Dec 05, 2025
img
খেলাধুলায় ‘ফিফা শান্তি পুরস্কার’ পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Dec 05, 2025
img
কমতে পারে সারা দেশের রাত ও দিনের তাপমাত্রা Dec 05, 2025