ক্রিকেটে শক্তির লড়াইয়ে বাংলাদেশকে দুর্বল দলের কাতারে ফেলে হেয় করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এখন আরব আমিরাতে আছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এ সিরিজে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছে পাকিস্তান। দলে নেই নিয়মিত অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, নেই বাবর আজম ও ফখর জামানের মতো ব্যাটসম্যান। হাসান আলীর মতো বোলারকেও দলে রাখেনি তারা।
তাদের বিশ্রাম দেয়া ঠিক হয়েছে কিনা সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে আফ্রিদি বলেন, ‘দেখুন, সিরিজটা যদি বাংলাদেশ বা জিম্বাবুয়ের মতো র্যাঙ্কিংয়ের ষষ্ঠ, সপ্তম কিংবা অষ্টম দলের সঙ্গে হতো তাহলে না হয় বুঝতাম তাদের বিশ্রামে দেওয়া ঠিক হয়েছে। কিন্তু সিরিজটা অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের সঙ্গে হওয়ায় এখানকার ম্যাচ জয়ের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপের আগে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিত। তাই আমার মনে হয় সিনিয়র খেলোয়াড়রা দলের সঙ্গে থাকলেই ভালো হতো। এমন তো না যে তারা ১৫-২০ বছর ক্রিকেট খেলেছে, তারাও তো কয়েক দিন আগে থেকেই খেলা শুরু করেছে। তাই তাদের দলে রাখলেই বোধ হয় ভালো হতো।’
ওপরের এই কথাগুলোর মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ দলকে কতটা অবজ্ঞার চোখে দেখেন শহীদ আফ্রিদি তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
অথচ পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ আর পাকিস্তান ক্রিকেটের তিন সংস্করণে মুখোমুখি হয়েছে ৯ বার। এর মধ্যে দুটি টেস্টের একটি ড্র ও একটিতে জিতলেও ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। তিন টি-টোয়েন্টির দুটিতেই হেরেছে, হেরেছে চারটি ওয়ানডের প্রত্যেকটিতে। এর মধ্যে ২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টিতে হারানো ম্যাচের অধিনায়ক ছিলেন এই শহীদ আফ্রিদিই। আর সর্বশেষ এশিয়া কাপে এই পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। মাঝে বিশ্বকাপ মিসের শঙ্কায় পড়েছিল যে পাকিস্তান, এখন সেই দলের সাবেক অধিনায়ক কিনা বাংলাদেশকেই অবজ্ঞা করছেন।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানের পাকিস্তানের পরই ৭ নম্বরে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে তাই বাংলাদেশকে এভাবে অবজ্ঞা করার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের পরিসংখ্যানটার দিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তরা।
টাইমস/এসআই