খুলনার বিরল স্থাপনা প্রফুল্ল চন্দ্রের বাড়ি

“প্রেম রসায়নে ওগো সর্বজন প্রিয়, করিলে বিশ্বের জনে আপন আত্মীয়।” কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ এই কবিতার দুই লাইন উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ স্যার প্রফুল্ল রায়কে। তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, প্রবন্ধকার, কবি এবং স্বদেশপ্রেমী। তার সম্মান চিরঅম্লান।

তিনি ছিলেন একজন সাদামাঠা লোক। মোট আয় থেকে নিজের জন্য মাত্র ৪০ টাকা রেখে বাকি সব দান করে দিতেন। তিনি একাধারে ছিলেন বিপ্লবী। ভারত উপমহাদেশে বাঙালীদের স্বাধীনতার জন্য সারা জীবন কাজ করে গেছেন।

কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বিপ্লবী, স্বদেশপ্রেমী, বিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। তিনি ১৯৬১ সালের ২ আগস্ট খুলনা জেলায় পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিজেই নিজের পরিচয় দিয়েছেন এইভাবে “আমি বৈজ্ঞানিকের দলে বৈজ্ঞানিক, ব্যবসায়ী সমাজে ব্যবসায়ী, গ্রাম সেবকদের সাথে গ্রাম সেবক আর অর্থনীতিবিদদের মহলে অর্থ-নীতিজ্ঞ। রসায়ন শাস্ত্রে অসামান্য অবদানের জন্য আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় দুনিয়া জুড়ে পরিচিত হন।

বাড়িটির সামনেই রয়েছে পাথরে অঙ্কিত প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের একটি ছবি। এর একপাশে রয়েছে একটি পুকুর। মাঝখানে একটি ফাঁকা স্থানকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে পুরো বাড়িটির নকশা। দোতালা মূল ভবনের পাশেই রয়েছে ছোট মন্দির ও একতলা আরও কয়েকটি ভবন। প্রায় ১৭০টি স্তম্ভের উপর বসানো পুরো কমপ্লেক্সটিতে মোট ৪৫টি দরজা ও প্রায় ১৩০টি জানালা রয়েছে। মূল ভবনের ছাদের উপর রয়েছে একটি সিংহমূর্তি। বাড়িটির বিভিন্ন দেয়াল ও স্তম্ভে ফুল, লতা ও হরেক রকমের নকশা অঙ্কিত রয়েছে।

কিভাবে যাবেন:
খুলনা শহর থেকে বাসে পাইকগাছা যাবার পথে রাড়ুলী-পাইকগাছা সংযোগ সড়কে নামতে হবে। সেখান থেকে রিক্সা কিংবা অটোরিকশায় যাওয়া যাবে বাড়িটিতে।

কোথায় থাকবেন:
খুলনা শহরে থাকার জন্য অনেক হোটেল রয়েছে যেমন- হোটেল সিটি ইন (০১৭১১-২৯৮৫০১), হোটেল ক্যাসেল সালাম (০৪১-৭৩০৭২), হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল (০৪১-৮১৩০৬৭-৯)।

 

টাইমস/এসআর/এইচইউ

Share this news on: