ইনফেকশনের সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্কে খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। দেখা গেছে, ব্যক্তির ইনফেকশন হওয়ার তিন মাসের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
হার্টঅ্যাটাক, হৃদরোগ, স্ট্রোক, হাইপারটেনশন ও হৃদযন্ত্রের কার্যহীনতাকে সামষ্টিকভাবে বলা হয় কার্ডিওভাসকুলার ডিসিস বা সিভিডি।
গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকার প্রায় ৮৪ মিলিয়ন লোক কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত। যেখানে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার ২০০ লোক এ রোগে মারা যায়।
কার্ডিওভাসকুলার ডিসিস (সিভিডি) রোগের পেছনে বেশ কিছু উপাদান জড়িত।
এরমধ্যে ধূমপান, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি যা মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অন্যান্য উপাদান যেমন লিঙ্গ, বয়স, জাতি ও পারিবারিক ইতিহাস ইত্যাদি মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
তবে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় আরও কিছু উপাদান পাওয়া গেছে যা পরোক্ষভাবে কার্ডিওভাসকুলার রোগের জন্য দায়ী।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ইনফেকশন ও নিউমোনিয়া থেকেও হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক হবার ঝুঁকি রয়েছে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইনফেকশনের সঙ্গে কার্ডিওভাসকুলার রোগের সম্পর্ক রয়েছে।
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. লক্ষীনারায়ন বলেন, গবেষণায় কার্ডিওভাসকুলার ডিসিসে আক্রান্ত এক হাজার ৩১২ জন রোগীকে পরীক্ষা করা হয়েছে, যাদের ৭২৭ জন রক্তস্বল্পতা জনিত স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
এসব রোগীদের অনেকেই ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে তিনি জানান।
গবেষণায় দেখা গেছে, এসব রোগী কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হবার ১-২ বছর আগে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনে ভুগেছিলেন।
আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশের ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, নিউমোনিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন হয়েছিল বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, হৃদরোগে আক্রান্তদের প্রায় ৩৭ ভাগ তিনমাস ধরে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনে ভুগছিলেন।
এক্ষেত্রে ইনফেকশনে আক্রান্ত হবার প্রথম দুই মাসে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে।