প্রায় আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে এই দুটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দুই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম।
আমিনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিট থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনটির পৌঁছানোর কথা।
সোমবার রাত পৌনে তিনটার দিকে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক যাত্রী। এই ঘটনার পর থেকে এই দুটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
এদিকে এ দুর্ঘটনার ফলে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও সিলেটের পথে বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বিলম্বিত হয়েছে। ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস সকাল ৭টায় নির্ধারিত সময়ে চট্টগ্রাম ছেড়ে গেলেও রাস্তায় আটকে থাকে দীর্ঘ সময়। চট্টগ্রাম থেকে অন্যান্য ট্রেনের সময়সূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
পূর্ব রেলের ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার (ডিসিও) আনসার হোসেন বলেন, আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ছাড়েনি। সাড়ে ১২টার মহানগর এক্সপ্রেসের যাত্রাও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঢাকাগামী মেইল ট্রেন কর্ণফুলী এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে সকাল ১০টায়।
সিগন্যাল অমান্য করায় ট্রেন দুর্ঘটনা, চালকসহ তিনজন বরখাস্ত
"নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ ২৫ হাজার করে টাকা দেয়া হবে"
টাইমস/এইচইউ