এইচএসসিতে যারা ফেল করেছ তারা আমাদের দলে

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার যারা ফেল করেছ তারা আমাদের দলের সদস্য। আমরা সেই দলে আছি যারা বারবার ফেল করেও সফলতা পেয়েছেন। স্কুলজীবনে বারবার ফেল করেছেন তারা। অকর্মন্য অপদার্থ বলে যাদের গালি শুনতে হয়েছে। তবে নিজেকে তারা কখনও বিকিয়ে দেননি। বরং অদম্য স্পৃহা তাদের সফলতার দলে স্থান দিয়েছে।

তোমরা আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মার কথা শুনেছ নিশ্চয়। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি তিনি। তুমি কি জান তিনি স্কুলে ৫ বার ফেল করেছিলেন। তবুও কিন্তু তিনি দমে যাননি। স্কুল ও কলেজ জীবনে চূড়ান্ত অসফল এই ব্যক্তিটিই কিন্তু পরবর্তীতে হাভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস নিয়েছেন। যদিও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বার বার বাতিল করে দেয়া হয়। শুধু তাই নয় যোগ্যতা না থাকায় KFC-তে চাকরির আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হন তিনি।

টমাস আলভা এডিসনের নাম শুনেছ? বিখ্যাত ওই বিজ্ঞানী ছোটবেলায় এতই দুর্বল ছাত্র ছিলেন যে শিক্ষকরাও তাকে ভৎর্সনা করতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি কি করলেন সেটা সবারই জানা। গ্রামোফোন, ভিডিও ক্যামেরা এবং দীর্ঘস্থায়ী বৈদ্যুতিক বাতিসহ বহু যন্ত্র তৈরি করেছিলেন এই মহান বিজ্ঞানী। অর্জন করেছিলেন নিজের নামে এক হাজারেরও বেশি আবিষ্কারের পেটেন্ট।

স্টিভ জবসকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। অদক্ষতার অজুহাতে চাকরি থেকেই বের করে দেয়া হয় তাকে। আর এখন তার প্রতিষ্ঠানেই চাকরি করেন হাজার হাজার কর্মী।

আলবার্ট আইনস্টাইনের কথা হয়তো অনেকেই জানেন। ৪ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি কথাই বলতে পারেননি। বাবা-মা এই ছেলেটিকে নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। শিক্ষকদের মতামত ছিল এই ছেলেটির পক্ষে জীবনে কোনকিছুই করা সম্ভব নয়। অথচ তিনিই বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী হয়েছেন।

পৃথিবীতে সফলতার এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে যারা ব্যর্থতাকে জয় করেছেন। তাই ফেল করা মানে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এটাকে সফলতার মানদণ্ড মনে করুন।

অভিভাবকদের বলছি, আপনার সন্তান ফেল করেছে তার কষ্টটা একবার অনুভব করুন। নিশ্চয় সে আপনার চেয়ে বেশি কষ্টে আছে। কটু কথা দিয়ে তার কষ্টটা আর বাড়িয়ে দেবেন না। এই পৃথিবীটাকে তার জন্য অসহনীয় করে তুলবেন না। ক্ষণিকের আবেগে এই সময়েই আপনার সন্তান হয়তো ভয়ংকর কোন বোকামি করে বসতে পারে। সতর্ক হউন। তাকে বেঁচে থাকার শক্তি দিন। সফল হয়ে উঠার সুযোগ দিন...

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: