বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স মন্তব্য করে বলেছেন, ভূতের পা যেমন পেছনে যায় তেমনি নির্বাচন কমিশন পেছনে হাঁটছেন। নির্বাচনে জামানতের টাকা বৃদ্ধি ও খরচের পরিমাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে এই নির্বাচনকে বড় লোকের টাকার খেলায় পরিণত করার চক্রান্ত চলছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে দলটির পঞ্চগড় জেলা কমিটির দ্বাদশ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, ‘এই চক্রান্তের জন্য আমরা গণঅভ্যুত্থান করিনি। ৫৪ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নীতিহীন রাজনীতি করে গেছে। বাংলাদেশের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষ মাঠে ময়দানে কাজ করে যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনেছে, তা বিগত ৫৪ বছর ধরে লুটপাট করে খেয়েছে দুর্বৃত্ত রাজনীতির হোতারা। যার কারণে গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেয়া যায় নি। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য তারা কর্তৃত্ববাদী ও পরিবারতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। এর বিরুদ্ধ বার বার আমরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বিজয় এনেছি।’
তিনি বলেন, ‘এবারের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল, গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীনতা। আজ গণতন্ত্র হুমকিতে এবং মবের সন্ত্রাস জনজীবনকে দুঃসহ করে তুলেছে। প্রতিদিন মানুষ ঘুম থেকে উঠে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নিয়ে।’
মন্তব্য করে আরও বলেন, ‘অনেক কমিশন গঠন হল, কিন্তু তারা বৈষম্য দূর করা নিয়ে কোনো আলোচনা করলেন না। তারা গরিব মেহনতি মানুষের স্বার্থ নিয়ে ভাবে না, তাই আলোচনা করে না।’
গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে কমিউনিস্ট পার্টির লাল পতাকাতলে আসার আহ্বান জানান প্রিন্স।
এর আগে দলটির পঞ্চগড় জেলা কমিটির দ্বাদশ সম্মেলনের উদ্বোধনী উপলক্ষে জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে একটি মিছিল নিয়ে তারা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ করে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য আসলাম খান, সিপিবি পঞ্চগড়ের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজা খন্দকার চামেলী ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলমসহ নেতাকর্মীরা।
ইএ/টিকে