বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের মৌন মিছিল

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মৌন মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চোখে ও মাথায় কাপড় বেঁধে ‘রেড মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।

মৌন মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন আমতলা থেকে শুরু হয়ে করিডোর পেরিয়ে সমাবর্তন চত্বরে এসে শেষ হয়।

এ সময় বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ জড়িতদের বিচারের দাবি জানান মিছিলে অংশগ্রহণকারী কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী।

কর্মসূচি চলাকালীন পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মীরা বলেন, ‘আমাদের চোখ এখন যেমন বন্ধ তেমন আমাদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রশাসনের চোখও বন্ধ। তারা এই বর্বর হামলায় আমাদের করুণ অবস্থা দেখতে পাচ্ছেন না। তাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তাদের অবস্থান বোঝালাম। সেই সঙ্গে আমরা এই হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘গত ২ সেপ্টেম্বর প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় আমরা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছি। পাশাপাশি হল খুলে দেয়া ও আন্দোলনকারীদের হয়রানি না করার আশ্বাসের বিষয়টি প্রশাসনের লিখিত দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে পুনরায় আলোচনার প্রস্তাব পূর্বনির্ধারিত আলোচনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা উক্ত দুই বিষয়ে প্রশাসনের লিখিতপত্র দেয়ার পরেই আমরা পরবর্তী আলোচনায় বসব। একই সঙ্গে ৩১ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতের হামলার বিষয়টি তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, গত ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভাকে কেন্দ্র করে সভাস্থলে তালা দিয়ে শিক্ষকদের ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন রাত ৮টার দিকে বহিরাগতরা এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর করে। এতে নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এরপর থেকে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ, রেলরাইন অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। সবশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সন্তানের আগে কিছুই নয়, আবেগঘন মন্তব্য জয়া বচ্চনের Oct 29, 2025
img
অতিথি আপ্যায়নে যেসব ভুল এড়ানো উচিত Oct 29, 2025
শহীদদের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিবির সভাপতি Oct 29, 2025
চরফ্যাশন এরিয়ায় সিগনালে লঞ্চ বন্ধ রাখার কারণ জানালেন নৌ-উপদেষ্টা Oct 29, 2025
img
প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরে পেলেন বিএনপি নেতা ছাবির চৌধুরী Oct 29, 2025
যে কারণে দুইবার ধন্যবাদ দিলেন সালাহউদ্দিন Oct 29, 2025
জাতীয় নির্বাচনের দিন বা আগে’ গণভোট করার সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের Oct 29, 2025
বাংলাদেশের টুর্নামেন্টের স্বপ্ন ভেঙে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয়! | Oct 29, 2025
img
মুম্বাইতে স্থায়ীভাবে থাকব না, লাইফস্টাইল আমাদের সঙ্গে মিলবে না: শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় Oct 29, 2025
img
আঞ্চলিক একক মুদ্রা চালুর প্রস্তাব ইরানের Oct 29, 2025
img
ভালোবাসলে এক বুক সমুদ্র নিয়ে ভালোবাসো: হুমায়ুন ফরীদি Oct 29, 2025
img

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ

চট্টগ্রামে ১ম ম্যাচের টিকিট বিক্রি থেকে আয় ৩৫ লাখ টাকা Oct 29, 2025
img
আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন দুই টাইগ্রেস ব্যাটার মোস্তারী-ফারজানা Oct 29, 2025
img
চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেয়েও ফিক্সিংয়ে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করবে না বিসিবি Oct 29, 2025
img
বিপিএলে স্বার্থের সংঘাত এড়াতে কঠিন সিদ্ধান্ত বিসিবির Oct 29, 2025
img
উইকিপিডিয়ার বিকল্প গ্রোকিপিডিয়া চালু করলেন ইলন মাস্ক Oct 29, 2025
img
আমি কোনো পুরুষের ট্যাগ নই, নারীর আত্মমর্যাদার ইশতেহার: পারভিন ববি Oct 29, 2025
img
রাজধানীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার Oct 29, 2025
img
ফিফা থেকে আবারও দলবদলের দুঃসংবাদ পেল কিংস Oct 29, 2025
img
জামায়াত আমিরের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করায় গাজীপুরের ওসি ক্লোজড Oct 29, 2025