রাজনীতির ওপরে সব কিছুরই মারাত্মক প্রভাব আছে : খালেদ মুহিউদ্দীন

সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন বলেছেন, রাজনীতির ওপরে সব কিছুরই মারাত্মক প্রভাব আছে। একটা সরকার পড়ে গেছে সরকারি চাকরিতে কোটার জন্য। আন্দোলনটা এটলিস্ট সেই কারণেই শুরু হয়েছিল। কৃষকদের আন্দোলনের জন্য অনেক দেশে সরকার পড়ে গেছে।

শ্রমিকদের আন্দোলনের জন্য পড়ে গেছে। সুতরাং রাজনীতি এত বড় একটা ব্যাপার যে প্রতিটা জিনিসই ওকে কোনো না কোনোভাবে আঘাত করে। কোনো না কোনোভাবে পিঞ্চ করে বা প্রভাব করে।

সম্প্রতি বেসরকারি এক টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে যে প্রভাবটা, কোনো কোনো সময় সে প্রভাবটা হচ্ছে সরলরৈখিক। একদিকে ১০ বাড়ালে ১০ প্রভাব পড়ল, অনেক সময় এটা উল্টা। মুক্ত গণমাধ্যম বলতে, সরকারের প্রভাব বলতে আমি বুঝি সরকার বা প্রভাবশালী কেউ যদি কোনো রিপোর্টে, কোনো কথায় বিরক্ত না হয়, তা হলে বুঝে নেবেন, আপনি ভুল পথে আছেন। কিন্তু সতর্কতা হলো, আজাইরা গুজব, হ্যান ত্যান বলবেন না।আপনাকে বলতে হবে আপনার জায়গাটা ঠিক রেখে।

তিনি বলেন, যা কিছু এডিটেড না তাকে জার্নালিজম মনে করি না। আমি জার্নালিজম প্রায় ৩৩ বছর পড়ি, পড়াই, করি, করাই। তা যা কিছুই হতে পারে। জার্নালিজমের চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে।

জার্নালিজমের চেয়ে অনেক শ্রেষ্ঠ কিছু হতে পারে। অনেক বেশি কিছু হতে পারে। কিন্তু জার্নালিজম না। আমার হিসাব হচ্ছে সরল।

খালেদ বলেন, মানুষ প্রচলিত একটা কথা এখন খুব বলে যে আমরা গণমাধ্যমের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছি। সেই আস্থাটা আমরা কোথায় হারিয়েছি আসলে? আমরা আস্থাটা গণমাধ্যমের ওপর হারিয়েছি, কারণ, আমরা দেখছি গণমাধ্যম তার মতো করে তার স্টাইলে এজেন্ডা সেট করে। অনেক ক্ষেত্রে সে তার বিনিয়োগকারী অথবা সে যে রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী অথবা তার যে বিজ্ঞাপনদাতা তাদের হয়ে কথা বলে। কথাটা আরেকজন মানুষকে গিলাতে চায়। একটা অডিয়েন্সের কাছে গিলতে চায় সত্য বলে তার এজেন্ডাটাকে। যখন মানুষ দেখছে যে না আমাকে তো ওর কথাগুলো গিলাতে চায় যদিও সেটা সত্য না। সে এটাকে অন্যভাবে প্যাকেজ করে, সুতরাং আমি তাকে আর বিশ্বাস করি না।

খালেদ আরো বলেন, বিশ্বাস না করতে গিয়ে সে হচ্ছে এমন কিছু লোকের ওপর বিশ্বাস করা শুরু করল যে লোক তার জানাটাকে বুস্ট করে।

গণমাধ্যমের প্রতি সাধারণ একজন ভোক্তার এখন আর ফ্যাক্ট দরকার নেই। তার দরকার হচ্ছে বায়াস। মনে করেন আমি সাদা দলের সাপোর্টার।

আমি খালি খুঁজব কে সাদা দলের হয়ে কথা বলে। কে সাদা দলের হয়ে খুব জোরে কালো দলকে একটা গালি দিতে পারে। এমনভাবে দেয় মনে হয় যে স্ক্রিন ফুরে বের হয়ে চলে আসতেছে। ওইটা যে করতে পারে আমি হচ্ছে সেই গণমাধ্যমরে আপন ভাবি।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

হাসিনা ব্যাংক ডাকাত, তাকে দেশে ফিরিয় এনে ফাঁসি দিতে হবে Sep 06, 2025
img
কাঠমান্ডুতে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের প্রথমার্ধ গোলশূন্য Sep 06, 2025
img
দেশবাসীর কাছে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন কাদের সিদ্দিকী Sep 06, 2025
সৌন্দর্য, প্রতিভা ও চার্ম বলিউড কাঁপানো উত্তরাখণ্ডের ৫ নায়িকা Sep 06, 2025
ছোট পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা তাশরীফ খানের ! Sep 06, 2025
সালমান শাহ: স্বপ্নের নায়ক আজও ভক্তদের হৃদয়ে Sep 06, 2025
আমরা আর নেগেটিভে যেতে চাই না ভাই, শুধু পজিটিভ ভাবতে চাই Sep 06, 2025
মহানবীর (সা.) আদর্শেই বিশ্বশান্তি সম্ভব: ড. ইউনূস Sep 06, 2025
"ইশতিহার ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী মাঠে জাবি ছাত্রদল" Sep 06, 2025
img
পিআরের দাবি অবাস্তব: খসরু Sep 06, 2025
img
পর্দায় প্রেমিকার অভিনয় দেখে আবেগপ্রবণ হৃতিক Sep 06, 2025
img
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ করল ট্রাম্প! Sep 06, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের এখনও ‘বেশ ইতিবাচক’ সম্পর্ক রয়েছে: মোদি Sep 06, 2025
img
ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশটাকে মবের রাজত্ব বানিয়েছেন : প্রিন্স Sep 06, 2025
img
লন্ডনে বিবিসির সাবেক সদরদপ্তরে আগুন, কাজ করছে ১০০ দমকলকর্মী Sep 06, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ Sep 06, 2025
যে ৬ নারী প্রার্থী সামনে নিয়ে শিবির লড়বে জাহাঙ্গীরে! Sep 06, 2025
img
রেকর্ড নয় বরং ফ্রান্সের হয়ে ম্যাচ ও শিরোপা জিততে চান এমবাপ্পে Sep 06, 2025
আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক’ Sep 06, 2025
নির্বাচনের খেলা নয়, আ. লীগের ফেরার মিশন! Sep 06, 2025