রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার আস্তানায় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভক্তদের পাল্টা সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়। এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাসেল মোল্লা (২৮) নামের এক যুবক।
নিহত রাসেল মোল্লা জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের জটু মিস্ত্রিপাড়ার আজাদ মোল্লার ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। নিহত রাসেল মোস্তফা মেটাল ইন্ডিস্ট্রিজের কাভার্ডভ্যান চালক ছিলেন।
নিহত রাসেলের বাবা ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আজাদ মোল্লা বলেন, রাসেল ছোটবেলা থেকেই গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফে যাওয়া-আসা করত, দরবারকে ভালোবাসতো। দরবারে যেত নিয়মিত। রাসেলের দাদা ছিল গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফের ভক্ত।
তিনি আরও বলেন, গতকাল রাসেল গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফে গিয়েছিল। দুপুরের পর সেখানে সংঘর্ষ হয় এবং অনেকে আহত হন। আমার ছেলের মুখটা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে, পেছনে কুপিয়েছে। অনেক রক্তক্ষরণে আমার ছেলেটা মারা যায়। আমার ছেলের কি দোষ ছিল। কেনো আমার ছেলেকে মারা হলো। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত রাসেলের বাবা আজাদ মোল্লা বলেন, মামলার বিষয়ে এখনো আমারা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমাদের লোকজন আছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।
এদিকে নুরাল পাগলার আস্তানায় হামলার সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে উপপরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেন।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩৫০০ জনের নামে মামলা করেন। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এমকে/টিএ