চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মসজিদ ও মাদ্রাসাকে অবমাননা এবং সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে শতাধিক ছাত্রকে মারাত্মকভাবে আহত করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দলটির সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতির মাধ্যমে এই নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাত ৮টার দিকে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসের র্যালি হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আরিয়ান ইব্রাহিম নামে এক যুবক মসজিদ ও মাদ্রাসার দিকে অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রতিবাদ জানালে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর নৃশংস হামলা চালায়। এই বর্বরোচিত হামলায় শতাধিক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, হাটহাজারী মাদ্রাসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। সেখানে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ এবং স্পষ্ট উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড। মসজিদ ও মাদ্রাসার মতো ধর্মীয় পবিত্র স্থানে অবমাননা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো মুসলমানদের ঈমান ও আক্বিদার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব ধর্মীয় পবিত্র স্থানসমূহকে যথাযথ সম্মান জানানো।
তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা দেশ ও সমাজে বিভেদ ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়ার অশুভ প্রচেষ্টা। অথচ ইসলামের শিক্ষা হলো শান্তি, সংযম ও সহনশীলতা। আমরা বিশ্বাস করি, উত্তেজনা নয় বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
জামায়াত নেতা বলেন, আমি সন্ত্রাসী হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে, এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
ইএ/টিকে