আবরারের ছোট ভাইকে মারধর, ভাবির শ্লীলতাহানির অভিযোগ

ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজকে পুলিশের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তার এক ভাবিকেও মারধর এবং শ্লীলতাহানি করেছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার আবরারের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর রায়ডাঙ্গায় গিয়ে স্থানীয় লোকজনের প্রতিরোধের মুখে পড়েন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য সাইফুল ইসলাম। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এতে আবরারের ছোট ভাইসহ আহত হন তিনজন।

জানা গেছে, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম আবরারদের গ্রামের বাড়ি আসছেন এমন খবরে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এ সময় হাজার হাজার নারীপুরুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের হাতে প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। ভিসিকে ঘিরে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। তারা ভুয়া, ভুয়া বলে স্লোগান দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এসময় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ বাধে।  সংঘর্ষে আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ, তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও আরও একজন নারী আহত হন।

গণমাধ্যমকে ফায়াজ বলেন, 'এখানকার দায়িত্বে থাকা অ্যাডিশনাল এসপি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোস্তাফিজুর রহমান আমার বুকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন এবং কালকেও যখন আমার ভাইয়ের জানাজা হয় তখন তিনি বলেছিলেন দুই মিনিটের মধ্যে জানাজা শেষ করতে হবে। কিভাবে তিনি এটা বলেন?'

'আজ এখানে আমার ভাবি ছিল, তাকে পুলিশ বেধড়ক পিটিয়েছে। তার কাপড়-চোপড় টেনে তার শ্লীলতাহানি পর্যন্ত করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের কোন ধরনের পুলিশ?'

এর আগে সকালে ছাত্রলীগ নেতাদের পিটুনিতে মারা যাওয়া বুয়েট ছাত্র আবরারকে দাফনের একদিন পর কুষ্টিয়ায় তার বাড়ির উদ্দেশে যান ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। তবে সেখানে তিনি আবরারের কবর জিয়ারত করতে পারলেও গ্রামবাসীর প্রবল প্রতরোধের মুখে বাড়িতে ঢুকতে পারেননি। পরে পুলিশ পাহারায় গাড়িতে করে স্থান ত্যাগ করেন। 

 

টাইমস/এমএস/এসআই

Share this news on: