শিবিরকে দায়ী করে বেশকিছু স্ক্রিনশট প্রকাশ করেছেন ডাকসুর কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক পদে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থী চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা।
এক ফেসবুক পোস্টে তিনি স্ক্রিনশট পোস্ট করে লিখেছেন, পুরো রাজনৈতিক জীবন বাদ দিলাম ডাকসুকেন্দ্রিক শিবিরের যত কুরুচিপূর্ণ কথার শিকার আমি হয়েছি কেউ কি এর ব্যাখা দেবেন? লীগ এসে আমার ফ্যামিলির মানুষজনকেও বাদ দেয়নি কুরুচিপূর্ণ কথা বলাতে। জামায়াত শিবিরও এর ব্যতিক্রম নয়।
তিনি বলেন, আমি চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা সারাজীবন এত কাজ করেছি যে আমি নিজেই গুনতে পারব না। কত কাজ আমি প্রকাশও করিনি। আমার বাবা-মা ছোটবেলা থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলেও পড়ার টেবিল একদিনের জন্য বাদ দিতে দেয়নি। কোনো বাড়িতে পারিবারিক লাইব্রেরি আছে কি না জানি না কিন্তু আমার বাড়িতে আছে। সেই বইগুলো আমার জীবন ছিল, আছে।
জীবনে এত মূল্যবোধ নিয়ে বড় হয়ে আজ অব্দি একটা কুরুচিপূর্ণ সম্পর্কে না গিয়েও যখন বিভিন্ন ছেলেদের সাথে অপ্রাসঙ্গিক নাম জড়ানো হয় এটা আর কত নেওয়া যায়?
মেঘলা বলেন, অথচ আমি আমার পার্সোনাল লাইফে অত্যন্ত সুখী একজন মানুষ। আমার প্রিয় মানুষ, বাবা-মা, ভাই-বোন আমার পুরো পরিবার, বন্ধুরা আমাকে ঘিরে রেখেছে। আমার ডাকসু প্রচারণাকেন্দ্রিক সময়ে আমার সাথে ২৪ ঘণ্টা সবাই আছে। আমি বাইরে থেকে কোনো পিআর টিম নিইনি, অ্যাডভাইজার নিইনি, স্ক্রিপ্ট রাইটার নিইনি, টিমও করিনি, কিছুই করিনি।
আমার পরিবার, বন্ধুরাই সব রেডি করে কাজ শেষ করে আমাকে সব কিছু জানিয়েছে। কারো মাথা ব্যথা নেই আমার বাবারও জেলা আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট ইলেকশন।
কেউ মোটেও ভাববেন না এটা এটেনশন সিকিং পোস্ট। আমি এই পোস্টটা করার পর হয়তো সব ভুলে যাব। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ দু’হাত ভরে আমার জীবনে কর্ম এবং সাফল্য দুই-ই দিয়েছে। আমি এতটাই ব্যস্ত থাকি যে কে বলল ‘নাক দেখে বমি আসে, দেখতে ভালো না জন্য ভোট দেব না, রাতের রা**, লীগ, খালা, চাচি’ এগুলো দেখারও আমার সময় থাকে না।
ক্ষতির দিক তুলে ধরে মেঘলা বলেন, ক্ষতিটা কাদের হচ্ছে জানেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের আমার কুড়িগ্রামের কোনো মেয়ের অথবা দেশের অন্য কোনো অঞ্চলের মেয়ের। তাদের বাবা-মা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডিতেই হয়তো তাদের আসতে দেবে না, যেটা আমার মনে হয় এই ধর্ম বেচে খাওয়া ভাইরা চায়। ৭১ বেচে খাওয়া, জুলাই বেচে খাওয়া, ধর্ম বেচে খাওয়া সবার নিজস্ব আইডেন্টিটি হোক। আল্লাহ সবাইকে বোঝার ক্ষমতা দিক।
ইউটি/টিএ