রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘তারেক রহমান বিড়াল প্রেমকে ওন করেন। জীবনে তার যে ভালো লাগার বিষয়গুলো রয়েছে, সেই বিষয়গুলোর সঙ্গে তিনি এই জিনিসগুলোও ওন করেন। ওন করার কারণেই তিনি তার ফেসবুক পেজ থেকে এটা শেয়ার করেছেন। এই ছবিটিতে যে ধরনের লাইক এবং কমেন্ট পড়েছে, এটা প্রতিপক্ষের মনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘তারেক রহমান সাহেবের বিড়ালের লেজকে আদর করার ছবিটি যেভাবে ভাইরাল হয়েছে বিএনপির যারা প্রতিপক্ষ তারাও তো চাইবে সেভাবে ছবি তুলে ভাইরাল হতে। আপনারা যারা মরুভূমিতে থাকেন তারা জানেন উট ভীষণ রকম আদরণীয় প্রাণী। এরা প্রভুভক্ত এবং প্রভুর জন্য জীবন দেয়।
তাদের যে ধৈর্যশক্তি, এটা বিড়ালের মতো নয়। বিড়াল খালি ফ্যাঁসফ্যাঁস করে। আপনি বিড়ালকে বুকে নিলেন ও সুযোগ পেলে আপনাকে একটা খামচি দেবে, কামড় দেবে, ম্যাও করে একটা শব্দ করবে। উট কিন্তু সেই কাজ করে না।
উটের সঙ্গে যদি আপনার বন্ধুত্ব হয়ে যায় উটের বন্ধুত্বে আপনি পাগল হয়ে যাবেন। সে ক্ষেত্রে জামায়াতের আমির যদি আরবদেশের একটা উটের সঙ্গে একটা ছবি পোস্ট করেন, যেখানে উট তাকে আদর করছে বা উটকে তিনি আদর করছেন এবং জামায়াতের যে বট বাহিনী ইন্টারনেটে রয়েছে তারা যদি টার্গেট করে যে বিড়ালের ছবিতে যদি তিন লাখ লাইক হয়ে থাকে বা চার লাখ লাইক হয়ে থাকে—এটাকে তারা পাঁচ মিলিয়ন বা ১০ মিলিয়ন, অর্থাৎ ৫০ লাখ বা এক কোটি লাইক সংগ্রহ করবে তাহলে কী হবে, সেটা পরে বলব।’
তিনি আরো বলেন, ‘এনসিপির যারা বিপ্লবী লোক রয়েছেন, তো তারা চিন্তা করলেন যে আমরা জার্মান শেফার্ডকে নিয়ে একটা ছবি তুলব। এর কারণ হলো কুকুরদের মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হলো জার্মান শেফার্ড। তারা মালিকের জন্য জীবন দেয়। তারা দেশ ও জাতির জন্য জীবন দেয়। প্রভুভক্ত। তো কাজেই আমরা যেহেতু এখন সৈনিকের ভূমিকা পালন করছি; বিড়াল বা উটের চেয়ে আমাদের জন্য জার্মান শেফার্ড একটা সিম্বল হতে পারে। তাদের পেজ থেকে যদি সেটি প্রমোট করা হয়, তাসনিম জারা যদি সারজিস ও হাসনাতের দুই হাতে দুটি জার্মান শেফার্ড দেন এবং সেই জার্মান শেফার্ড নেতারা বললেন যে ভারতীয় আধিপত্যকে আমরা মোকাবেলা করব, আমরা আরাকান আর্মিকে মোকাবেলা করব, আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করব, ছাত্রলীগকে মোকাবেলা করব—মুহূর্তের মধ্যেই দেখবেন সেটা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে।’
রনি বলেন, ‘জামায়াত, এনসিপির নেতারা ছবি তুললে চরমোনাই পীর সাহেব তো বসে থাকবেন না। তিনি বলবেন, আমরা ওই সব উটেও যাব না, জার্মান শেফার্ডেও যাব না, বিড়ালের মধ্যেও যাব না। আমরা কবুতর নিয়ে অথবা ময়ূর নিয়ে ছবি তুলব। কবুতর নিয়ে যদি তিনি ছবি তোলেন এবং বলার চেষ্টা করেন যে এটি একটা অলৌকিক প্রাণী, শান্তির দূত। আমরা অশান্তি চাই না। আমরা এই কবুতরকে প্রতীক হিসেবে নিলাম বা ময়ূরের সঙ্গে আমরা একটা ছবি তুললাম। তাহলে আগামী দিনে একেকজন এক মিলিয়ন, দুই মিলিয়ন লাইকের জন্য এভাবে কবুতর নিয়ে, জার্মান শেফার্ড নিয়ে, বিড়াল নিয়ে তো হয়েছে, উট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের ফলে যে একটা ভাইব তৈরি হবে সেটার পরিণতি—রাজনৈতিক পরিণতি, মানসিক পরিণতি এবং এটার প্রতিফল কেমন হতে পারে আপনারা চিন্তা করতে থাকুন।’
ইউটি/টিএ