জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচনে অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে অমর্ত্য রায় জাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে আজ দুপুরেই অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গতকাল জাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে অনুমতির নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন প্রার্থিতা বাতিল হওয়া অমর্ত্য রায়।
জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের একাংশের প্যানেল ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ থেকে ভিপি পদে প্রার্থী হন অমর্ত্য। কিন্তু জাকসু নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করে। এ বিষয়ে ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী অমর্ত্য জাকসুর গঠনতন্ত্রের ৪ ও ৮ ধারা মোতাবেক ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। তাই ভোটার ও প্রার্থী তালিকা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হলো।
এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে এবং সিদ্ধান্তটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে অমর্ত্য রায় হাইকোর্টে রিট করেন।