জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে অমর্ত্য রায়কে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা স্থগিত করে গত ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, তা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচনে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল থেকে ভিসি (সহসভাপতি) পদে প্রার্থী হন অমর্ত্য।
গত ১৭ আগস্ট জাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় অমর্ত্য রায়ের নাম ছিল। এরপর গত ২৯ আগস্ট প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।
সেখানেও প্রার্থী হিসেবে অমর্ত্য রায়ের নাম ছিল। কিন্তু গত ৬ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিলের কথা জানায় জাবি নির্বাচন কমিশন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী অমর্ত্য জাকসুর গঠনতন্ত্রের ৪ ও ৮ ধারা মোতাবেক ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত। তাই ভোটার ও প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহার করা হলো।
প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সোমবার হাইকোর্টে রিট করেন অমর্ত্য। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন। জাবির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আদেশের পর জাবির আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হবে।