ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী সমাগমসহ তিনটি অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে এসব অভিযোগ করে।
ছাত্রদলের তিন অভিযোগ হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি প্রবেশ পথে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ব্যপক উপস্থিতি, প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরা জামায়াত সংশ্লিষ্ট এবং নির্বাচনে কারচুপি।
প্রশাসনের কাছে ছাত্রদলের মৌখিক অভিযোগ দেয়ার উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানসহ সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এদিকে, অভিযোগ জানানোর সময় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাদের উত্তপ্ত বাগবিতণ্ডা হয়।
ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, জামায়াত-শিবির ক্যাম্পাস ঘিরে আটটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে এবং প্রশাসন সারাদিন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তারা ভিসিকে সরাসরি জামায়াতপন্থি বলে অভিযুক্ত করে বলেন, ঢাবি প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় জামায়াতে ইসলামী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ভিসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বাইরে থেকে স্টুডেন্টরা আসলো না। নারী শিক্ষার্থীরা আসেনি। বাসগুলো কম আসলো। আপনি বোঝেন নাই?' এই কথা বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে টেবিলে চড় মারেন তিনি।
এ সময় ভিসি তাকে বলেন, ‘আপনি চুপচাপ বসে যান। কোনো জায়গায় শুনিনি, স্টুডেন্ট কম এসেছে।’ ছাত্রদলের উপস্থিত নেতারা এসময় চেঁচামেচি করেন।
ভিসি বলেন, ‘আমার সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচি করে লাভ নাই। আমি ওই ধরনের না। সভ্য সংলাপ করুন। আপনাকে আমি সম্মান করি, একইভাবে আপনার কাছ থেকে সম্মান আশা করি। আমরা কোথাও শুনিনি যে, ভোটার উপস্থিতির কমতি ছিল। আজকে সবচেয়ে বড় টার্নআউট ছিল এই ক্যাম্পাসে।’
তবে নিয়াজ আহমেদ দাবি করেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই, আমি সবার সহযোগিতায় কাজ করতে চাই।’ বৈঠকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য আদানপ্রদান এবং নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
এসএস/এসএন