খাগড়াছড়ি জেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলবে।
অবরোধকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে জেলার অন্তত ১০-১২টি স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মানিকছড়ির তবলাপাড়ায় সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও নারী আত্মরক্ষা কমিটি এই তিনটি ইউপিডিএফ সমর্থিত সংগঠন এ কর্মসূচি আহ্বান করে। মঙ্গলবার রাতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক স্বপন চাকমা এক বিবৃতির মাধ্যমে অবরোধের ঘোষণা দেন।
অবরোধের কারণে দূরপাল্লার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকালে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের চেঙ্গীব্রিজ এলাকায় ও পানছড়ি সড়কের টেকনিক্যাল স্কুলের সামনে টায়ার ও গাছের গুড়ি ফেলে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ গিয়ে আগুন নেভায় ও সড়ক থেকে প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নেয়। বিভিন্নস্থানে চোরাগোপ্তা পিকেটিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, শহরের প্রবেশ পথের দুটি স্থানে অবরোধকারীরা যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। তবে পুলিশের তৎপরতায় তা সফল হয়নি। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচগুলো নিরাপদে শহরে প্রবেশ করেছে এবং নিরাপত্তা জোরদারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে মানিকছড়ির তবলাপাড়ায় কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছাড়িয়ে আনতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ তোলে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
এমকে/এসএন