বাংলা সংগীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রোমানা মোর্শেদ কনক চাঁপা। অসংখ্য গান গেয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর ছিল প্রথিতযশা এই কণ্ঠশিল্পীর জন্মদিন। ৫৬ বছর বয়সে পা রেখে জন্মদিনে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন কিংবদন্তি এ কণ্ঠশিল্পী।
১৯৬৯ সালে ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন কনকচাঁপা। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে কনকচাঁপা তৃতীয়। ছোটবেলা থেকেই গান ছিল তার প্রাণ। তাই বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী বশীর আহমেদের কাছে সংগীতের তালিম নেন। নব্বই দশকের সিনেমা মানেই ছিল এ সংগীতশিল্পীর হৃদয় দোলানো গান।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) কনকচাঁপার জন্মদিনে গুণী এ শিল্পী বলেন,
" আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। জন্মদিন ওরকম ঘটা করে উদ্যাপন করার অভ্যাস কোনোকালেই ছিল না। তো এখন যেটা হয় জন্মদিনে ছেলে মেয়ের নাতিনাতনীরা খুব আনন্দ করে। "
কনকচাঁপা আরও বলেন,
দুই বছর হলো আমার মেয়ে দেশে নাই। সে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে বেনে থাকে। তো যার জন্য আনন্দটা অর্ধেক হয়ে গেছে। তারপরেও মানে আমার অনলাইনের স্কুলের ছাত্র ছাত্রী তারা সাথে থাকে এবং দর্শক ভক্ত যারা আছে যারা পরিচিত আত্মীয়স্বজন এবং আলহামদুলিল্লাহ আমার মা আছেন সাথে।
এরপরই আবেগী হয়ে এ সংগীতশিল্পী বলেন,
জন্মদিন এলেই মৃত্যুর কথা মনে হয় বেশি। কিন্তু তারপরেও বলবো, জীবনটা ছোট্ট হলেও অনেক সুন্দর। জন্মদিনে আল্লাহর কাছে একটি জিনিসই চাওয়ার, সেটা হল যে আল্লাহ যাতে নেক হায়াত দেন। সুস্থ অবস্থাতেই যেন পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে পারি।
ভক্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন,
জন্মদিন আমার কাছে একটা তারিখ মাত্র। কিন্তু মানুষের ভালোবাসায় দিনটা স্পেশাল হয়ে যায়। আমার যারা দর্শক-ভক্ত আছেন সবার জীবন অনেক সুন্দর হোক। সবার ছোট-বড় ইচ্ছাগুলো সব পূরণ হোক। আমার পক্ষ থেকে সে দোয়া রইলো।
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগীতাঙ্গনে সক্রিয় এ শিল্পী ৩ হাজারের বেশি সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
শুধু গায়িকা নন, লেখক হিসেবেও কনকচাঁপা সমানভাবে পরিচিত। একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে তার একাধিক বই। ২০২০ সালে প্রকাশিত হয় তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘কাটা ঘুড়ি’।
প্রসঙ্গত, প্লেব্যাকের পাশাপাশি আধুনিক, নজরুলগীতি ও লোকগানে তার সমান দক্ষতা কনকচাঁপার। দীর্ঘ ৩৫ বছরের ক্যারিয়ারে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন গুণী এ সংগীতিশিল্পী।
এবি/টিকে