জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার কোনো প্রস্তুতিই ছিল না কর্তৃপক্ষের। কথা ছিল তারা মেশিনের মাধ্যমে গুনবে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে মেশিনের মাধ্যমে গুনা হয়নি, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেই গোনা হচ্ছে। প্রস্তুতি না থাকার কারণে যে বাড়তি চাপ, এই চাপ সহ্য করতে না পেরে একজন শিক্ষিকার মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। জীবনে কখনো শুনেছেন যে ভোট গণনার চাপ সহ্য করতে না পেরে একজন শিক্ষিকার মৃত্যু হতে পারে? উনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
উনার তো কাজ ভোট গণনা নয়। তারপরও উনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কাজগুলো করেন এবং সেই কাজ করতে গিয়ে খুবই জনপ্রিয় একজন শিক্ষিকা মারা গেলেন। উনার এই যে মৃত্যুটা, এই মৃত্যুর দায়টা কে নেবে? আমি মনে করি, এর দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষে নেওয়া উচিত এবং এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়া উচিত, আমি এটা মনে করি।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এসব কথা বলেন তিনি।
মাসুদ কামাল বলেন, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন, নির্বাচনের দায়িত্ব নিয়েছেন, আপনারা কেন একটা নির্বাচন কন্ডাক্ট করতে পারলেন না? না পারার তো কোনো অজুহাত এখানে কার্যকর না। কি এমন অজুহাত অথবা কি এমন যুক্তি আপনার আছে, যে যুক্তির কারণে একজন শিক্ষকের মৃত্যুকে জাস্টিফাই করা যায়? কি এমন যুক্তি আপনার আছে যে মাত্র ১১ হাজার ভোট গণনা করতে তিন দিন লাগানো যায়?
তিনি বলেন, জাকসুতে অনেক অনেক প্রার্থী, গোনায় খুব সমস্যা- তাও কিন্তু না। জাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মাত্র ১৭৭ জন, আহামরি কোনো প্রার্থীও কিন্তু না। তাহলে আপনারা পারলেন না কেন? না পারার মূল কারণটা হলো তাদের কোনো প্রিপারেশনই ছিল না। সবকিছু যান্ত্রিকভাবে গুনবেন, কিন্তু তারও তো একটা সাপোর্ট থাকা লাগে, প্ল্যান বি থাকা লাগে। যদি কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায়, আমরা ওটাতে শিফট করতে পারি। আপনাদের অল্টারনেটিভ প্ল্যান ছিল? কোনো প্ল্যান ছিল না। মানে এরকম ভয়ঙ্কর ব্যর্থতা আমার জীবনে আমি কখনো দেখিনি।