ডাকসু নির্বাচন থেকে বিএনপিকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের পর বিএনপির সেন্ট্রাল লিডাররা যেমন স্থায়ী কমিটির সদস্য জাহিদ ভাই, যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেছেন- এটা নাকি হাসিনার ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংকেও হার মানিয়েছে। জাহিদ হোসেনও বলেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে, কারচুপি হয়েছে।’
মাসুদ কামাল বলেন, ‘যদি কারচুপি হয় তাহলে একটা উদাহরণ দেন না। আমরা দেখি যে কিসের ওপর ভিত্তি করে আপনি বলছেন এই কথা।
ভাই আপনারা ইলেকশনে হারছেন। তাহলে স্বীকার করেন না কেন। এই যে স্বীকার না করার মানসিকতা, এটা কিন্তু আগামীতে আরো বড় বড় পরাজয়কে ইনভাইট করে। স্বীকার করেন যে, আপনার স্ট্র্যাটেজিতে ভুল ছিল।
জামায়াত তলে তলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ তারা আঁতাত করেছে। আপনি করতে পারলেন না কেন। যারা আওয়ামী লীগের ভোটার, সেটি ভোট না? তো ওই ভোটকে আপনি গুনেন নাই কেন? এটাতো ইলেকশন।
এখানে আপনার স্ট্র্যাটেজিটা কি ছিল? ওই ভোটটা আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে নেওয়ার চেষ্টা করেন নাই কেন? তাকে আপনি বাদ দিয়েছেন কেন? তাহলে আপনি তো স্ট্রাটেজিক্যালি হেরে গেছেন।’
‘হেরে গিয়ে এসব কথা বলে তো লাভ নেই। আপনি ফুটবল খেলায় হেরে যদি এখন যুক্তি দেন যে, মাঠ উঁচু ছিল, আমাদের দিকে মাঠটা একটু ঢালু ছিল, বল মারলে এখানে চলে আসে, বাতাস আমাদের দিকে ছিল এজন্য বল অনুকূলে চলে আসছে। ভাই এগুলো বলে তো লাভ নাই। যখন সিনিয়র নেতারা এগুলো বলে, তখন এখান থেকে কিন্তু জুনিয়র যারা আছে, স্টুডেন্ট যারা আছে, তারা শিক্ষা নেয়।
মাসুদ কামাল বলেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা যারা জিতেছে, তাদেরকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। এই ভোটটা আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন নাই। আপনারা ভুল করেছেন। কী ভুল করেছেন এই আত্মউপলব্ধি যদি আপনারা না করেন, কেন আম হারলাম এটা যদি না ভাবেন, তাহলে বলতে হবে আপনারা এখনো সেই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাচ্ছেন। এখনো আপনারা গতানুগতিক পলিটিক্স করছেন। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, আত্মসমালোচনা করতে হবে।’
পিএ/টিএ