২০২২ সালের পর এই প্রথমবার পেনাল্টি মিস করলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার এই ব্যর্থতার রাতেই ইন্টার মিয়ামি ৩-০ গোলে হেরেছে টানা জয়ের ছন্দে থাকা শার্লট এফসির কাছে। দলটির হয়ে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেন ইদান তোক্লোমাতি।
শনিবার রাতে ব্যাংক অব অ্যামেরিকা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৩২তম মিনিটে মেসির সামনে আসে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ। ভিএআরের সিদ্ধান্তে শার্লটের জিব্রিল দিয়ানির ফাউলের কারণে পেনাল্টি পান আর্জেন্টাইন সুপারস্টার; কিন্তু আত্মবিশ্বাসী মেসি প্যানেনকা শটে গোলের চেষ্টা করলে শার্লট গোলকিপার ক্রিস্টিয়ান কাহলিনা দারুণ সেভে সেই গোল আটকে দেন।
এর আগে মিয়ামির হয়ে নেওয়া তিনটি পেনাল্টিতেই গোল করেছিলেন মেসি। সর্বশেষ তিনি পেনাল্টি মিস ছিল ২০২২ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার গ্রুপপর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে। ইন্টার মিয়ামির হয়ে এটাই প্রথম পেনাল্টি মিস তার।
মেসির পেনাল্টি মিস নিয়ে কোচ হ্যাভিয়ার মাচেরানো ম্যাচ শেষে বলেন, ‘এটা নিয়ে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। মৌসুমজুড়ে জিততে আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে লিও।’
তবে মেসির পেনাল্টি মিসের পরপরই বিপদে পড়ে মিয়ামি। ৩৪তম মিনিটে শার্লটের কেরউইন ভার্গাসের ক্রস থেকে গোল করেন ইদান তোক্লোমাতি।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও জ্বলে ওঠেন এই ফুটবলার। ৪৭ মিনিটে কাছ থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। শেষ দিকে, ৮৪তম মিনিটে উইলফ্রিড জাহাকে ফাউল করলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই ফরোয়ার্ড।
মিয়ামির হয়ে মেসি একবার সতীর্থ তাদেও আলেন্দেকে দিয়ে সুযোগ তৈরি করলেও কাহলিনা আবারও দারুণ সেভ করে গোল বঞ্চিত করেন। তার উপর ৭৯ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখে মাঠ ছাড়েন মিয়ামি ডিফেন্ডার তোমাস আভিলেস।
এ নিয়ে টানা নবম ম্যাচে জয় তুলে নিল শার্লট, যা সমান হলো এমএলএস রেকর্ডের (সিয়াটল সাউন্ডার্স, ২০১৮)। ৩০ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় কনফারেন্সে শীর্ষ চারে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করল তারা। অন্যদিকে ২৬ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে মিয়ামি পড়ে গেল প্লে-অফ লাইনের ঠিক ওপরে।
মিয়ামির হয়ে এই ম্যাচে খেলেননি লুইস সুয়ারেজ। লিগস কাপ ফাইনালে সিয়াটলের স্টাফকে থুতু দেয়ার ঘটনায় তিনি তিন ম্যাচের এমএলএস নিষেধাজ্ঞা এবং ছয় ম্যাচের লিগস কাপ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। মঙ্গলবার সিয়াটলের বিপক্ষে আবার মুখোমুখি হবে মায়ামি।
ম্যাচ নিয়ে কোচ মাচেরানো বলেন, ‘আজকের রাতটা আমাদের জন্য হতাশার। তবে ফুটবলে এগিয়ে যেতে হলে কঠোর পরিশ্রম আর জয়ের বিকল্প নেই।’
ইএ/টিকে