ব্রিটিশ বক্সার ও সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রিকি হ্যাটন ৪৬ বছর বয়সে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম।
গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশের এক মুখপাত্র সিএনএন'কে জানিয়েছেন, 'আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে টেমসসাইডের হাইড এলাকার বোলএকর রোডে এক পথচারির ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং সেখানে ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে কোনো সন্দেহজনক পরিস্থিতি মনে হচ্ছে না।' তবে মৃত্যুর কারণ বা মৃত ব্যক্তির নাম পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি।
'দ্য হিটম্যান' উপাধিধারী হ্যাটন লাইট-ওয়েলটারওয়েট এবং ওয়েলটারওয়েট দুই ভিন্ন শ্রেণিতে বিশ্ব খেতাব জিতেছিলেন। তার ক্যারিয়ারে তিনি ফ্লয়েড মেওয়েদার জুনিয়র, ম্যানি প্যাকিয়াও এবং কস্ত্যা জুজুর মতো কিংবদন্তিদের বিপক্ষে লড়েছেন।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ২০০৭ সালে মেওয়েদারের কাছে হারার আগ পর্যন্ত হ্যাটন কখনোই হারেননি এবং টানা ৪৩ জয় পেয়েছিলেন। ২০১২ সালে অবসরের সময় তার রেকর্ড ছিল ৪৫ জয় ও ৩ হার।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হ্যাটন মদ, মাদক এবং বিষণ্ণতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন এবং এ ব্যাপারে প্রকাশ্যেই কথা বলতেন। তবুও, তিনি চলতি বছরের ২ ডিসেম্বর দুবাইয়ে ইসা আল দাহর বিপক্ষে লড়াই দিয়ে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা করেছিলেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) তার মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হলে দুপুরের পর থেকেই ক্রীড়াবিশ্বের অনেকেই শোক প্রকাশ করতে থাকেন। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আমির খান হ্যাটনকে 'একজন বন্ধু, একজন মেন্টর, একজন যোদ্ধা' হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি আরও লিখেছেন, 'রিকি, তোমাকে ধন্যবাদ সব কিছুর জন্য তোমার লড়াই, তোমার গৌরবের মুহূর্ত, তোমার দৃঢ়তার জন্য। আমাদের প্রেরণা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। তুমি সব সময় আমাদের স্মৃতির রিংয়ে থাকবে।'
আরেক সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন টাইসন ফিউরি লিখেছেন, 'রিকি হ্যাটনের মতো আর কেউ কখনো হবে না।'
বক্সিং জগতের আরেক তারকা ক্রিস ইউব্যাঙ্ক জুনিয়র লিখেছেন, 'শান্তিতে থাকুন মিস্টার রিকি হ্যাটন। আমরা আপনাকে স্যালুট জানাই।'
অন্যদিকে, ব্যালন ডি’অরজয়ী সাবেক ইংলিশ ফুটবলার মাইকেল ওয়েনও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, 'শান্তিতে ঘুমাও রিকি হ্যাটন। কী দুর্দান্ত একজন মানুষ, কী অসাধারণ এক ফাইটার। ভীষণ দুঃখজনক সংবাদ।'
ব্যক্তিজীবনে হ্যাটন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থক ছিলেন। তার মৃত্যুতে ক্লাবটি শোক প্রকাশ করেছে।
মৃত্যুকালে হ্যাটন তার তিন সন্তান মিলি, ফিয়ার্ন ও ক্যাম্পবেল এবং নাতনি, লায়লাকে রেখে গেছেন।
এমকে/এসএন