জামায়াত-শিবিরের সততা প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যারা দেশই চায়নি তাদের আবার সততা কী? সম্প্রতি একটি বেসরকারি চ্যানেলের টক শোতে হাজির হয়ে এমন মন্তব্য করেন দুদু।
টক শোতে দুদু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ যারা চায়নি, পাকিস্তান যারা চেয়েছে তাদের আবার সততা কী? তাদের সততা কী বলেন? আমি তো রাজনীতির কথা বলছি। আপনারা বলেন তাদের সততা কী? পকেট থেকে পয়সা বের করে এমন গুনে গুনে ডাইনিং টেবিলে খাওয়াটা সততা মনে হচ্ছে?’
ঢালাওভাবে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে— এমন প্রশ্ন উঠতেই দুদু বলেন, ‘ছাত্রদলের কারো নাম বলেন যার নামে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। তার নাম বলেন বা বাবার নাম বলেন। নির্দিষ্ট করে বলেন। নয়তো অভিযোগ করা বা এসব কথা বলা ঠিক না। এই ট্রেন্ডটা এখন শুরু হয়েছে। ছাত্র অঙ্গনে নির্বাচন হওয়ার কথা না।
ইউনিয়ন কাউন্সিলে নির্বাচন হওয়ার কথা না। সেটা বন্ধ করার জন্য ওখানে নিয়ে গেলাম। জাতীয় যে নির্বাচন হওয়ার কথা, যেখানে জবাবদিহি থাকবে, যেখানে দেশ পরিচালনার একটা নেতৃত্ব উঠে আসবে সেটা অন্য সংগঠনও আছে। কিন্তু ম্যাক্সিমাম পরিচিত আছে যে বিএনপি আসছে। একে ঠেকাতে হবে। এটা আমার কাছে মনে হয়েছে।’
শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ছাত্রদল অংশগ্রহণ নির্বাচনে করেছে উল্লেখ করে দুদু বলেন, ‘আমরা কোনো প্রতিষ্ঠান ছাড়তে চায় নাই। ছাত্রদল কোনো প্রতিষ্ঠান ছাড়তে চায় নি। মনে করেছে যে মন্দের ভালো, উপস্থিত থাকাটা ভালো। জাহাঙ্গীরনগরে নির্বাচন বর্জনের প্রসঙ্গে দুদু বলেন, ‘কেন বর্জন করবে না। যেখানে শিক্ষকরা বর্জন করছেন। ছাত্রদের অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন শিক্ষক। এখন শিক্ষকদের ঘৃণাকে তারা তো ধারণ করতে পারে। তো সেই জায়গাটায় যেটা ধারণ করে থাকে, সেটাকে সততা বলবেন না?’
ইউটি/টিএ