জেএফএ অ-১৪ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্ব আগামীকাল রাজশাহীতে শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক পর্বে ছয় ভেন্যুর চ্যাম্পিয়ন, স্বাগতিক রাজশাহী ও সেরা রানার্স আপ নিয়ে চূড়ান্ত পর্ব হওয়ার কথা ছিল। রাঙামাটি জোনে চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক রাঙামাটি না খেলায় তাদের পরিবর্তে ঐ জোনের তৃতীয় দল খাগড়াছড়ি খেলছে।
আজ জেএফএ অ-১৪ টুর্নামেন্টের মূল পর্ব উপলক্ষ্যে বাফুফে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, 'রাঙামাটি চ্যাম্পিয়ন হয়েও খেলবে না। সেই জোনের রানার্স আপ কক্সবাজারও মূল পর্বে খেলতে চাইনি। তাই সেখানে তৃতীয় দল খাগড়াছড়ি খেলছে।'
রাঙামাটি থেকে মনিকা-ঋতুপর্ণা চাকমার মতো ফুটবলার উঠে এসেছে। দেশের নারী ফুটবলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইন হিসেবে কাজ করছে রাঙামাটি। সেই রাঙামাটি অ-১৪ টুর্নামেন্টে প্রাথমিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েও খেলছে না। তবে বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত নন বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান, 'কেন খেলেনি তারা সেটি বলেনি। চিঠিতে বলেছে তারা খেলতে পারবে না। এটার পজিটিভ নেগেটিভ দুই দিকই আছে। তারা খেলতে না পারায় অন্য দল সুযোগ পাচ্ছে আবার তারা যেহেতু চ্যাম্পিয়ন ফলে তারা খেলতে পারলে অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা মান ভালো হতো।'
রাঙামাটি জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি সাবেক জাতীয় ফুটবলার বরুণ বিকাশ দেওয়ান। চ্যাম্পিয়ন হয়েও মূল পর্বে না খেলার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'রাঙামাটিতে আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছে। আমাদের সকল খেলোয়াড় স্কুলের। স্কুলগুলো না ছাড়ায় খেলা সম্ভব নয়, আমরা দাবি করেছিলাম খেলা এক সপ্তাহে পেছালে অংশগ্রহণ করা যেত।'
বাফুফের এই মুহুর্তে তিনটি জাতীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্ট চলছে। পুরুষ অ-১৫, নারী অ-১৪ ও জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। এতে অংশগ্রহণ ও স্বাগতিক হয়ে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলো যেন সংকটেই পড়েছে, 'জেএফএ কাপে রাঙামাটি স্বাগতিক ছিল। ফেডারেশন মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা এখনো দেয়নি। অনেক টাকা খরচ হয়েছে। ফেডারেশন যা দেয় এর চেয়ে কয়েকগুণ খরচ প্রতিটি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণে। এতে সামনে অ-১৭ টুর্নামেন্টে নাও খেলতে পারে রাঙামাটি।'
আগামীকাল শুরু হওয়া মূল পর্বে এ গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক রাজশাহী, খাগড়াছড়ি, ময়মনসিংহ ও রংপুর। বি গ্রুপে ঠাকুরগাও, চাপাইনবাবগঞ্জ, খুলনা ও মানিকগঞ্জ। দুই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ সেমিফাইনালে উঠবে। ২৫ সেপ্টেম্বর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
এমকে/এসএন