সুপার ফোরে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে জিততেই হতো। এমন বাঁচা-মরার ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিমের হাফ সেঞ্চুরির পর নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেনের স্পিনে ৮ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এমন জয় ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে দৌড়ে টিকে থাকলেন লিটনরা। বড় ব্যবধানে জিততে না পারায় কাজটা এখনো সহজ নয় বাংলাদেশের জন্য।
ভাগ্য পক্ষে থাকলেই কেবল সুপার ফোরে যেতে পারে বাংলাদেশ। কারণ শ্রীলঙ্কার সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে টাইগাররা। ৪ পয়েন্ট ও +১.৫৪৬ নেট রান রেট নিয়ে সবার উপরে শ্রীলঙ্কা। দুইয়ে আছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট তাদের। যেখানে বাংলাদেশের নেট রান রেট –০.২৭০। যেখানে তিন থাকা আফগানরা এগিয়ে আছে নেট রান রেটে।
২ পয়েন্ট হলেও তাদের রান রেট +২.১৫০। এমন অবস্থায় শেষ ম্যাচে যদি শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয় তাহলে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে উঠবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। যদি আফগানরা জিতে যায় তখন তাকিয়ে থাকতে হবে নেট রান রেটের দিকে। রান রেটে এগিয়ে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সবার আগে সুপার ফোরে যাবে আফগানিস্তান। ব্যবধান বড় না হলে তাদের সঙ্গে উঠে যাবে শ্রীলঙ্কাও।
আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং করে এবং ৭১ কিংবা তার চেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে তাহলে আফগানদের সঙ্গে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশও। যদি আফগানরা পরে ব্যাটিং করে তাহলে অন্তত ৫৩ বল বাকি থাকতেই তাদের জিততে হবে। তাহলেই কেবল শ্রীলঙ্কার নেট রান রেট বাংলাদেশের পেছনে চলে যাবে এবং লিটনরা তখন সুপার ফোরে জায়গা করে নেবে।
এমআর