তারেক রহমান

ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পথে রয়েছে। তবে এই উত্তরণকে শুধু একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা যাবে না। কারণ এতে ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যা সরাসরি আমাদের অর্থনীতি এবং জনগণকে প্রভাবিত করবে।

এ সময় তিনি বিএনপিকে ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।

গতকাল বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। এতে তারেক রহমান আরও বলেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া অগ্রসর না হলে অর্থনীতি ও জনগণ সরাসরি চাপের মুখে পড়তে পারে। পোস্টে তিনি কয়েকটি সম্ভাব্য সমস্যার কথা উল্লেখ করেন।

এগুলো হলো, বাণিজ্যসুবিধা হারালে তৈরি পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমতে পারে। স্বল্প সুদে ঋণ ও সাহায্যের প্রবাহ কমে যাবে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও ঋণের চাপে থাকা অর্থনীতিকে আরও সংকটে ফেলতে পারে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিশেষ সুবিধা- যেমন ভর্তুকি বা ওষুধের পেটেন্ট-সংক্রান্ত ছাড় আর থাকবে না। এতে প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়তে পারে এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্ষয়ক্ষতি হলে একটি ক্ষেত্রের ওপর রপ্তানিনির্ভরতা আমাদের দুর্বল করে তুলতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দেশের শ্রমিক, কৃষক ও তরুণ প্রজন্মকে দুর্বল অবস্থায় ফেলে রাখা যাবে না। এলডিসি থেকে উত্তরণের সুফল ভোগ করতে হলে এখনই বাস্তব অগ্রগতি ও সুযোগ তৈরি করাটা জরুরি।

এমন পরিস্থিতিতে বিএনপিকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন তারেক রহমান। এর মধ্যে রয়েছে পোশাকের বাইরে আমাদের রপ্তানিভিত্তিক আইসিটি, ওষুধ ও অন্যান্য মূল্য সংযোজন শিল্পে বৈচিত্র্য আনতে হবে, ঋণের ফাঁদ এড়াতে উন্নত আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করতে হবে। বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক থাকার জন্য উৎপাদনশীলতা, বাণিজ্য সরবরাহ এবং আধুনিক অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য বাণিজ্য সুবিধা এবং সবুজ অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে।

পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টাকা না খেয়ে, পক্ষপাত না করেও সাংবাদিকতা করা যায় : মাসুদ কামাল Sep 17, 2025
img
বিয়ের পরও স্বামীকে ‘ভাইয়া’ ডাকেন নওশীন, জানালেন কারণ Sep 17, 2025
img
বাংলাদেশের কাছে হারের কারণ ব্যাখ্যা করলেন রশিদ খান Sep 17, 2025
img
আজ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন নাহিদ ইসলাম Sep 17, 2025
img
৮ দিন বিঘ্নিত হতে পারে বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের সেবা Sep 17, 2025
img
ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান, দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করবেন হাসিনার আইনজীবীরা Sep 17, 2025
img

কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

রাজধানীতে সাতরাস্তা মোড়ে অবরোধ, বন্ধ যান চলাচল Sep 17, 2025
img
রেলের সাবেক মহাপরিচালকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা Sep 17, 2025
img
মেট্রোরেলের ১৪ স্টেশনে ৩১ দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা কর্তৃপক্ষের Sep 17, 2025
img
স্কুল প্রাঙ্গণে আ.লীগ নেতার তিনতলা বাড়ি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা Sep 17, 2025
img
আমরা সবাই বাংলাদেশি, কেউ সংখ্যালঘু নই : রেজাউল করিম Sep 17, 2025
img

প্লট দুর্নীতি

শেখ হাসিনা ও তার দুই সন্তানের বিরুদ্ধে চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু Sep 17, 2025
img
দোহায় হামলার জন্য নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতে হবে : কাতার Sep 17, 2025
img
আমার জার্নিটা অনেক কষ্টদায়ক : আফরান নিশো Sep 17, 2025
img
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা Sep 17, 2025
img
দেশের ৪ বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস Sep 17, 2025
img
ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন ২০৮ কোটি টাকা Sep 17, 2025
img
আজ ঐতিহাসিক ‘শিক্ষা দিবস’ Sep 17, 2025
img
আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা : দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে Sep 17, 2025
img
জামায়াত যেভাবে শত্রুদের অ্যাটাক করে, অন্য কোনো পার্টি করে না : রুমিন ফারহানা Sep 17, 2025