ভারতের দেয়া ১৮৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে আমির কালেম ও হাম্মাদ মির্জার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৮তম ওভার পর্যন্ত দারুণভাবে লড়াই করে ওমান। তবে শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠেনি তারা। ওমানকে ২১ রানে হারিয়ে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছে ভারত। অন্যদিকে, সবকটি ম্যাচ হেরে আসর শেষ করলো ওমান।
আগের ম্যাচগুলোতে ভালো করতে না পারলেও ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সটা দিয়েছেন জাতিন্দার সিং, আমির কালেম, হাম্মাদ মির্জারা। ম্যাচ জিততে শেষ ৫ ওভারে ওমানের প্রয়োজন ছিলো ৭৩ রান, হাতে ছিলো ৯ উইকেট। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে এই কাজটুকু করা সহজ ছিলো না ওমানের জন্য।
জাতিন্দার ৩২ রানের ইনিংস খেলে ফিরলেও ওমানকে টানছিলেন মির্জা ও আমির। ইনিংসের ১৬তম ওভারে কুলদীপ যাদবকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ওই ওভারে তুলেন ১৫ রান। পরের ওভারে আর্শদীপ সিং দেন ১০ রান। তবে তাদের দুজনের অবিশ্বাস্য জুটি ভেঙেছেন হার্শিত রানা। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া বাঁহাতি ওপেনার আমির আউট হয়েছেন ৬৪ রানের ইনিংস খেলে।
হার্দিকের বলে ফেরার আগে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে মির্জা খেলেছেন ৫১ রানের ইনিংস। মির্জা ও আমির হাফ সেঞ্চুরি করলেও ভারতের বড় লক্ষ্য পেরিয়ে যেতে পারেনি ওমান। ১৮৮ রান তাড়ায় ৪ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে তাদের ইনিংস। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলার পরও ভারতের কাছে হারতে হয়েছে ২১ রানে। এর আগে, আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার।
তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ৬ রানে শুভমান গিলের উইকেট হারায় ভারত। শুরুর সেই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসন মিলে যোগ করেন ৬৬ রান। ১৫ বলে ৩৮ রান করে অভিষেক ফিরে যাওয়ার পর হার্দিক পান্ডিয়াও আউট হন প্রথম বলেই।
হার্দিকের বিদায়ের পর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেন স্যামসন। ২৬ রান করে বিদায় নেন অক্ষর। একপ্রান্ত আগলে রেখে তিন চার, তিন ছক্কায় ৪৫ বলে ৫৬ রান করেন স্যামসন। শেষ দিকে তিলক ভার্মা ২৯ রান করলে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৮। ওমানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন শাহ ফাইসাল, শ্রীবাস্তব ও আমির কালেম।
ইউটি/টিএ