জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য আবদুল হান্নান মাসউদ এবার জীবনের নতুন এক অধ্যায়ে পা দিতে চলেছেন। এনসিপি এ নেতা অনেকটা ‘চুপিসারে’ সেড়ে ফেলেছেন বাগদান।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মাসউদ-শ্যামলী সুলতানা জেদনী বাগদান সম্পন্ন হয়। হান্নান মাসউদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, হান্নান মাসউদ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবে গেছেন। সেখানে তিনি এক সপ্তাহের বেশি অবস্থান করবেন। পরে পবিত্র ওমরা করবেন এবং দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
জানা যায়, পাত্রী শ্যামলী সুলতানা জেদনী বাড়ি লক্ষীপুর। তিনি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য (সংগঠক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া জেদনী বাগছাসের মিডিয়া সেলের সহ-সম্পাদক হিসেবেও আছেন।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় জন্ম নেওয়া আবদুল হান্নান মাসউদ বাংলাদেশের তরুণ রাজনীতিতে উদীয়মান এক নেতা। ২০২৩ সালে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তখন তিনি আখতার হোসেন ও নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির মাধ্যমে রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেন। পরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবদুল হান্নান মাসউদ।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আত্মপ্রকাশ হওয়া রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবদুল হান্নান মাসউদ।