গতকাল থেকে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে। লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানকে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস হারিয়ে চ্যালেঞ্জ কাপের শিরোপা নিজেদের কাছেই রেখেছে। তবে ফুটবলাঙ্গনে ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম। আজ বাংলাদেশ-চীন প্রীতি ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালকে কালকের মাঠ ইস্যু নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল কালকের মাঠ ইস্যুতে বলেন, 'আমরা দুই দুই বার লিগের সূচি পরিবর্তন করেছি। অবশ্যই আমাদের ত্রুটি আছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নাই। এর আগে আমরা যেটা করেছি, দ্রুত সমাধানের চেষ্টা। আমি আশা করছি আমাদের লিগ কমিটি এবারও সমস্যা সমাধান করবে শীঘ্রই।’
বাফুফে সভাপতি দায় নিলেও বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশের স্টেডিয়ামগুলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ-স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার অনুমতি ছাড়া বাফুফের কিংবা ফুটবল ক্লাবের ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ নেই। নানা দেনদরবারের পর ১৪ সেপ্টেম্বর মোহামেডান কুমিল্লা ভেন্যু বুঝে পেয়েছে। মাত্র চার দিন আগে পেলেও প্রয়োজনীয় কোনো কাজই করেনি। ম্যাচের আয়োজক হিসেবে মোহামেডান ক্লাবের সিংহভাগ দায় থাকলেও দেশের ফুটবলের প্রধান সংস্থা হিসেবে বাফুফের লিগ কমিটি এমন মাঠে খেলা আয়োজন করায় দায় এড়াতে পারে না।
বাফুফে মাঠ ও স্টেডিয়াম সংকট নিরসনে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। ২৫ বছরের জন্য কয়েকটি স্টেডিয়াম বাফুফে বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সরকারের কাছ থেকে বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেডিয়ামগুলো পেলে ফিফা স্বীকৃতি পাওয়ার অঙ্গীকার বাফুফে সভাপতির।
তিনি বলেন, 'আমি কখনো অগ্রিম কথা বলি না। আমরা ৬ টি স্টেডিয়াম নিয়ে সরকারের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় চলে এসেছি। বাফুফে ছয়টি স্টেডিয়াম টেক ওভার করলে পরিপূর্ণ ফিফা সার্টিফাইড স্টেডিয়ামে রুপান্তরে বাফুফে কাজ করবে। অনেক সময় ডিটেইলসে ত্রুটি থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত হস্তান্তর না পাই ততক্ষণ কিছু বলা যাচ্ছে না। আমাদের লক্ষ্য হলো বাফুফের অধীনে স্টেডিয়ামগুলো নিয়ে উন্নয়ন করা। ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের অধীনে যে অসম্পূর্ণ কাজ রয়ে গেছে সেটা নভেম্বরের মধ্যে শেষ করা।’
ইউটি/টিএ