রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করলে তাকে কঠোর হস্তে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ প্রতিহত করবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে, সে কোন ধর্ম বা বর্ণের সেটা বিবেচ্য না।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম তার বক্তব্যে সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, রাজবাড়ী জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্যান্য সময়ের থেকে স্বাভাবিক আছে এবং জেলা পুলিশের সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার প্রাক প্রস্তুতি, পূজাকালীন ও পূজা পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থার বলয় তৈরি করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা যেন স্বাভাবিকভাবে পূজা মণ্ডপে যেতে পারে, সে কারণে যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি।
পুলিশ সুপার প্রতিটি মণ্ডপে শতভাগ সিসি টিভি বসানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের প্রতি বিশেষ আহ্বান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত নির্দেশনা অনুযায়ী উৎসব পালন করতে বিশেষ অনুরোধ জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীবের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন– পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দেবব্রত সরকার, পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট জেলা শাখার আহ্বায়ক অশোক কুমার সরকার, পূজা উদযাপন ফ্রন্ট জেলা শাখার আহ্বায়ক অনিন্দিতা গুহ বাণীসহ পূজা উদযাপন পরিষদ,পূজা উদযাপন ফ্রন্ট, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও জেলা পুলিশোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন সার্বজনীন দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সব নেতাদের মূল্যবান মতামত প্রকাশের জন্য মুক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়।
এ সময় পুলিশ সুপার পূজা উদযাপন বিষয়ে জেলা, উপজেলা এবং পৌর পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের কাছ থেকে শারদীয় দুর্গা পূজার পূর্বপ্রস্তুতি ও গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে সবার মতামত শোনেন।
পিএ/টিএ