গ্রুপ পর্বের মতো সুপার ফোরেও ভারতের কাছে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান। তবে এবারের ম্যাচও বিতর্কের ঊর্ধে থাকেনি। পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামানের আউট নিয়ে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উইকেটকিপার সাঞ্জু স্যামসন ক্যাচ ধরার আগে বল মাটি ছুঁয়েছে কি–না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। টেলিভিশন রিপ্লেতে পরিষ্কার বোঝা না গেলেও থার্ড আম্পায়ার ফখরকে আউট ঘোষণা করেন। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলী আগা।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের দ্বিতীয় দফা পরাজয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করে সালমান আগা বলেন, 'আমি জানি না সিদ্ধান্তটা কীভাবে হলো। আমার কাছে মনে হয়েছে বলটা মাটিতে বাউন্স করার পর কিপারের হাতে যায়। অবশ্যই এটা আম্পায়ারের কাজ, ওরা ভুল করতেই পারে—এতে আমার কোনো সমস্যা নেই। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে বলটা আগে লেগেছিল।'
পাওয়ার প্লেতে দারুণ সূচনা এনে দেয়া ফখর টিকে গেলে পাকিস্তানের সংগ্রহ আরও বড় হতো বলে মনে করেন পাকিস্তানের এই অধিনায়ক, 'হয়তো আমি ভুলও হতে পারি, জানি না। কিন্তু ফখর যেভাবে ব্যাট করছিল, যদি পাওয়ারপ্লে পেরিয়ে খেলতে পারত, আমরা হয়তো ১৯০ রানের মতো করতে পারতাম।'
ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে। হার্দিক পান্ডিয়ার অফ-কাটারে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন ফখর। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানা স্পর্শ করে গতি হারিয়ে উইকেটকিপার সাঞ্জু স্যামসনের দিকে যায়। স্যামসন সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নেন।
কিন্তু বল মাটি স্পর্শ করেছে কি–না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। তাই মাঠের আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠান। ফখরও মনে করেছিলেন বল মাটিতে লেগেছে, তাই তিনি রায় শোনার অপেক্ষায় ছিলেন।
বহুবার রিপ্লে দেখার পরও তৃতীয় আম্পায়ার রুচিরা পাল্লিয়াগুরুগে ফখরকে আউট ঘোষণা করেন। সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়ে ফখর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন, পরে ফিরে গিয়ে কোচ মাইক হেসনের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় তাকে।
এই আউটকে ঘিরে মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররাও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন। মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ আমির এবং ফাওয়াদ আলমের মতো সাবেকরা এতো বড় ম্যাচে এমন সিদ্ধান্তকে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে মন্তব্য করেছেন।
দুবাইয়ে সুপার ফোরের এই ম্যাচে সাহিবজাদা ফারহানের ৪৫ বলে ৫৮ ও শেষদিকে ফাহিম আশরাফের ৮ বলে ২০ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭১ রান সংগ্রহ করে।
জবাবে অভিষেক শর্মার ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
ইএ/এসএন